|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
পাঠ মাটি করিল ‘পঠিতব্য’ |
বইপোকা |
পুরাতনের হৃদয় টুটে আপনি নূতন উঠবে ফুটে। গানে লিখিয়াছিলেন রবি ঠাকুর। কথাটি মনন সম্পর্কেও খাটে। বিশ্ববিদ্যার যে পুরাতন সঞ্চয় তাহারই নির্ভরে জন্ম লইয়া থাকে নূতন ধারণা। এই কথাটি এ বঙ্গীয় বইপাড়া যেমন মানে তেমন বোধ করি অন্য কেহ নহে। বইপাড়ায় অধুনা কেবলই পুরাতনের জন্ম হয়। তাহা ভাল। কিন্তু পুরাতনের আত্তীকরণ করিয়া তাহার নূতন জন্ম দিবার কার্যটি বড়ই শিল্পিত-স্বভাব। সেই সূক্ষ্মতার লেশমাত্র দেখাইতে পারিল না সতীশচন্দ্র ঘোষের চাকমা জাতি: জাতীয় চিত্র ও ইতিবৃত্ত) (সম্পাদক রঞ্জিত সেন, অরুণা প্রকাশন সংস্করণ, ৫৫০.০০)। প্রকাশনাটি বঙ্গীয় বইপাড়ায় নূতন, তাহার উদ্যোগের আন্তরিকতা লইয়া সন্দেহ নাই। কিন্তু শতবর্ষ-পুরাতন গ্রন্থকে কী করিয়া নূতন পাঠকের নিকট আকর্ষণীয় করিয়া তুলিতে হয়, এই প্রকার গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশে সম্পাদনার ভূমিকা ঠিক কী সে বিষয়ে ন্যূনতম ধারণারও প্রকাশ পাইলাম না এই গ্রন্থে। নব সংস্করণের ভূমিকাটিই ‘সম্পাদনা’র একমাত্র পরিচয়, সেই একমাত্রও কেবলই জড়ো করার পরিচয়। উপরন্তু, সূত্র উল্লেখের এক অভিনব পন্থা সেই ভূমিকায় গৃহীত। ভূমিকার শেষে নহে, মধ্যে মধ্যে এক একটি অনুচ্ছেদের নীচে তৃতীয় বন্ধনী জানাইয়া দিতেছে ওই অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিষয় সম্পর্কে ‘পঠিতব্য’ গ্রন্থের নাম। একটি তেইশ পৃষ্ঠার রচনায় বারংবার ‘পঠিতব্য’ পাঠ করিতে করিতে রচনার পাঠযোগ্যতা যে মাটি হইল, সে খেয়াল রাখিবে কে? এমনকী পশ্চাৎপটে চিত্রহীন যৎকিঞ্চিৎ লেখক-পরিচিতিটিও ভুলে ভরা, অথচ সম্পাদকের পরিচয় সচিত্র! |
|
|
|
|
|