ডাকঘর
‘স্টেশন স্থানান্তরিত হোক’ শিরোনামে গত ৩ ডিসেম্বর ‘ডাকঘর’-এ প্রকাশিত হয় জঙ্গিপুরের জনৈক কাশীনাথ ভকতের চিঠি। মোড়গ্রাম স্টেশন নিয়ে লেখা ওই চিঠির বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করছি। তাঁর মন্তব্য ও প্রস্তাব বড্ড একপেশে। ওই স্টেশনটি ওই এলাকায় অবস্থিত দেশ স্বাধীন হওয়ারও অনেক আগে থেকে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাসস্টপ থেকে ওই স্টেশনটির দূরত্ব প্রায় ২ কিমি। জেলাপরিষদের এক্তিয়ারে থাকা ওই রাস্তার অর্ধেক পিচ পাথরে দিয়ে তৈরি পাকা রাস্তা। বাকি অর্ধেক মোরাম বিছানো। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মোড়গ্রাম বাসস্টপ থেকে স্টেশনে যাতায়াতের জন্য ২৪ ঘণ্টা রিকশাভ্যান পাওয়া যায়। বাসস্টপ থেকে স্টেশন পর্যন্ত রাস্তাটির দু’পাশে ঘন বসতির গ্রাম রয়েছে। ফলে ‘ফাঁকা ও প্রায় জনমানব শূন্য রাস্তা’র কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই রাস্তা বরাবর বিভিন্ন খাবারের ও অন্য সামগ্রীর দোকান রয়েছে। ওই রাস্তার পাশে সাগরদিঘি থানার পুলিশের ক্যাম্পও রয়েছে। বহরমপুর ও রঘুনাথগঞ্জ থেকে মোড়গ্রাম স্টেশন পর্যন্ত বাস চলাচলের একটি রুট রয়েছে। অনেক আগে ওই রুটে যাত্রবাহী বাস চলাচল করত। বর্তমানে ওই রুটটি সরকারি খাতা কলমে বহাল থাকলেও অজ্ঞাত কারণে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে মোড়গ্রাম স্টেশনটি স্থানান্তরিত করার যুক্তি অবান্তর। ফলে স্টেশন স্থানান্তর করা নয়, মোড়গ্রাম বাসস্টপ থেকে স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ২ কিমি রাস্তার যথাযথ সংস্কার করে দ্রুত ওই রুটে পুনরায় যাত্রীবাহী বাস চালু করা দ্রুত প্রয়োজন।
ট্রলি রিকশায় মোটরবাইকের ইঞ্জিন লাগিয়ে মফস্সল শহর ও গ্রামে গঞ্জে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ‘লছিমন’ নামের গাড়ি। ওই গাড়িতে পণ্য ও যাত্রী দুই-এ পরিবহণ করা হচ্ছে। ওই সব গাড়িতে বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত মান বহন করায় হামেশাই উল্টো গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। তার উপরে রয়েছে শব্দ ও বায়ু দূষণের ঘটনা। লছিমনে হতাহতের ঘটনা ঘটলে বিমা সংস্থার বা অন্য কারও কোনও দায়বদ্ধতা নেই। কারণ, মোটর ভেহিকেল দফতরে লছিমন গাড়িগুলির কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। লছিমন গাড়ির চালকরা সবাই গরিব ঘরের সন্তান। ফলে একই সঙ্গে তাঁদের রুটিরুজির, পথচারী এবং যাত্রীদের জীবনের কথা বিবেচনা করে লছিমন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও চালকদের লাইসেন্সের ব্যবস্থা করা হোক। সেই সঙ্গে দূষণের বিষয়টিও বিবেচনার মধ্যে রাখা হোক।
জঙ্গিপুর পুরসভা পরিচালিত রঘুনাথগঞ্জ বাস টার্মিনাস বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওই টার্মিনাসের যত্রতত্র পড়ে থাকছে নোংরা আর্বজনা। টার্মিনাসের ভিতরে পিচ পাথর উঠে গিয়ে গর্ত হয়ে গিয়েছে। টার্মিনাসের শৌচালয়ের বদলে যত্রতত্র ব্যবহার করে নোংরা ছড়ানো হচ্ছে। অথচ তা দেখভাল করার কেউ নেই। নেই যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার। ওই সব বিষয়ে পুরকর্তার দৃষ্টি আর্কষণ করছি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.