|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা |
পুর অভিযান |
মশা মারতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মশার প্রকোপে রীতিমতো অসহনীয় অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে কলকাতা পুরসভার ১৪০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দাকে। দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যার মধ্যে থাকতে থাকতে বহু বার পুরসভায় অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু আগে কোনও কাজ না হলেও সম্প্রতি পুরসভার পক্ষ থেকে অন্যান্য ওয়ার্ডের সঙ্গে এই এলাকার খালে বোট চালিয়ে তেল স্প্রে করে মশা মারার অভিযানে নামল পুরসভা।
আক্রা ফটক সংলগ্ন কলকাতা পুরসভার ১৪০ নম্বর ওয়ার্ডের খালধারি কাঞ্চনতলায় রয়েছে দীর্ঘ খাল। গঙ্গার সঙ্গে খালটি যুক্ত। পাশেই রয়েছে সরকারি ইটভাটা, যা টেন্ডারের মাধ্যমে চলে। ইটভাটার কাজে পলির দরকারে বছরের ছ’মাস খালটি খুলে দেওয়া হয় গঙ্গার জল ঢোকার জন্য। বাকি সময় গঙ্গার সঙ্গে যে জায়গায় খালটি যুক্ত হয়েছে, সেই মুখ বন্ধ থাকে। জমে আশপাশের জিন্স তৈরির শতখানেক কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য। এই বর্জ্য জমতে জমতে খালের জল কার্যত বদ্ধ হয়ে পড়েছে। আর তাতেই আস্তানা গেড়েছে মশা। |
 |
পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস জানান, গত মার্চ মাস থেকেই পুরসভা কলকাতার বিভিন্ন খালে বোট চালিয়ে কীটনাশক স্প্রে করে মশার লার্ভা মারার কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, “সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত কলকাতায় কিউলেক্স মশার দাপট বেড়ে যায়। বিশেষ করে সংযুক্ত এলাকা এবং খালধার সংলগ্ন এলাকাতেই মশার প্রকোপ বাড়ে। তাই আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে মশার লার্ভাগুলি মেরে ফেলতে চাইছি। এতে ইতিমধ্যে সাফল্যও পেয়েছি।” ১৪০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা এলাকার বিধায়ক মুমতাজ বেগম বলেন, “আমাদের এই অঞ্চলে মশার সমস্যা অনেক দিন থেকেই রয়েছে। আমরা পুরসভাকে সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম। সম্প্রতি খালে বোট চালিয়ে আমরা স্প্রে করা শুরু করেছি। আপাতত এই কাজ চলবে।”
|
ছবি: পিন্টু মণ্ডল। |
|
|
 |
|
|