বিষ ধোঁয়ার কাছে হেরে গেলেন তুষার |
দীর্ঘ দিন ধরেই হাড়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন। হার মাননেননি কখনও। কিন্তু এ বার হেরে গেলেন। ক্যানসারের কাছে নয়। দুর্গাপুরের স্টিল প্ল্যান্টের ‘ওয়াগন রিপেয়ার শপ’-এর কর্মী তুষারকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৫) হার মানলেন বিষ ধোঁয়ার কাছে। খবর পেয়েই ইস্পাত কলোনির ‘বি জোন’-এর মহিস্কাপুর রোডের ১৪/৫ কোয়ার্টারের বাসিন্দারা কলকাতায় চলে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা মেলে পড়শিদের। প্রতিবেশী তপতী রায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাড়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন তুষারবাবু। প্রথম দিকে বেশ কিছু দিন ভর্তি ছিলেন দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে। পরে তাঁকে আমরি-তে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থেকে কয়েক মাস অন্তর তিনি আমরি-তে পরীক্ষা করাতে যেতেন। দুর্গাপুজোর আগে গিয়েছিলেন। এ বার যান নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বড় ছেলে শুভঙ্কর। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তপতীদেবীর ছেলে তারাশংকরকে ফোন করে তিনিই দুঃসংবাদ দেন। সরাসরি বাড়িতে ফোন করে মাকে বলার সাহস তিনি তখনও সঞ্চয় করতে পারেননি। অন্য এক প্রতিবেশী বাড়িতে খবর দেন।
|
দুর্গাপুর প্রজেক্টস নিউ টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচনের দিন বদলের আর্জি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষা বাঁচাও কমিটি। মহকুমাশাসককে কমিটির পক্ষ থেকে লিখিত আর্জি জানানো হয়েছে। নির্বাচনের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ২৫ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছেন। সেই মর্মে কর্তৃপক্ষের তরফে চিঠিও পাঠানো হয়েছে অভিভাবকদের কাছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই স্কুলের পরিচালন সমিতি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় দখলে রেখেছে সিপিএম। বিরোধীদের অভিযোগ, গায়ের জোরে সমিতি দখল করে রেখেছিল সিপিএম। এ বার তাদের দাবি মেনে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছেন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। ওই দিন অনেক অভিভাবক স্কুলমুখো হবেন না বলে তাঁদের আশঙ্কা। মহকুমাশাসক আয়েষা রানি এ জানান, আর্জি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
ঘর থেকে বেরোনোর দু’দিন পর এক প্রতিবন্ধী খনি কর্মীর মৃতদেহ মিলল বাড়ির অদূরেই। ঘটনাটি ঘটেছে জামুড়িয়ার শিবপুর পাথরডাঙা এলাকায়। মৃতের নাম রাজেশকুমার প্রসাদ (৩৫)। নিঘার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দু’দিন আগে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় একটি পরিত্যক্ত খনি থেকে।
|
রতিবাটি হায়ার প্রজেক্টের অদূরে ধসের জেরে সৃষ্টি হওয়া গর্ত থেকে এখনও অল্প ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই ধস নামে। যার জেরে ২০ ফুট লম্বা, ১৫ ফুট চওড়া, ২০ ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়। সংলগ্ন আবাসনের কর্মীদের ইসিএল অন্যত্র সরিয়ে নেয়। |