ছাত্রীর গলা কাটা দেহ ঝোপে
পুকুরের কাছ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে এক স্কুলছাত্রীকে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ছাত্রীর নাম বৈশাখী চন্দ্র (১৯)। বাড়ি হুড়া থানার কেশরগড় গ্রামে। সোমবার ভোরে বাড়ির কাছেই একটি পুকুর লাগোয়া ঝোপের ভিতর থেকে বৈশাখীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তবে, কী কারণে এই খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। খুন করার আগে ওই তরুণীর উপরে শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরিষ্কার হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তদন্তে পুলিশ। ছবি: প্রদীপ মাহাতো।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকার কৃষ্ণানন্দ বিদ্যাপীঠের দ্বাদশ শ্রেণির কলা বিভাগে ছাত্রী বৈশাখীর বাবা ললিতকুমার চন্দ্র গ্রামেই একটি মুদিখানার দোকান চালান। অন্য দিনের মতোই রবিবার দুপুরের আগে বৈশাখী স্নান করার জন্য ওই পুকুরে গিয়েছিল। তার মা ঝর্না চন্দ্র বলেন, “বেশ কিছুক্ষণ পরেও মেয়ে ফিরে না আসায় আমি ওর বাবাকে জানাই।” ললিতবাবুর কথায়, “আমি এ দিক, ও দিক খোঁজ করি। কিন্তু কোথাও মেয়ের হদিস পাইনি। তার পরে আত্মীয়-স্বজনকে ফোন করি। পরিচিতদের বাড়িতেও খোঁজ নিই। কিন্তু কোনও খবর পাইনি। এ সব করতে করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। ঠিক করেছিলাম, সোমবার থানায় সব জানাব। তার আগেই ভোরের দিকে খবর পাই, পুকুর থেকে কিছুটা দূরের ঝোপে মেয়ের দেহ পড়ে আছে।” তাঁর প্রশ্ন, “মেয়েটাকে কারা কেন এ ভাবে মারল? ও কি কারও কোনও ক্ষতি করেছিল?” চন্দ্র দম্পতির দুই মেয়ে। বৈশাখী ছিল বড়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। ওই জায়গায় মাটিতে রক্তের দাগ। তবে ঘটনাস্থল লোকালয় থেকে খুব দূরে নয়। পুলিশের ধন্দ বাড়িয়েছে এই তথ্য যে, এ ভাবে এক তরুণীকে ভরদুপুরে গলা কেটে খুন করা হল, অথচ এলাকার কোনও লোক কোনও চিৎকার শুনতে পাননি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আততায়ী সংখ্যায় একাধিক হতে পারে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “যে ভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে একাধিক ব্যক্তির যুক্ত থাকার সম্ভাবনা বেশি।” মৃত ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। একটি খুনের মামলা রুজু হয়েছে। কৃষ্ণানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক রঞ্জিতকুমার সেন বলেন, “মেয়েটি পড়াশোনায় ভাল ছিল। বুঝতে পারছি না, কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল। পুলিশের উচিত, দ্রুত খুনিদের খুঁজে বের করা।”
নিরাপত্তার দাবি। নিরাপত্তার দাবি তুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত ক্রাসার ও খাদান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রামপুরহাটের বারমেসিয়া, বড়পাহাড়ি, ধরমপাহাড়ি ও দিঘলপাহাড়ি এলাকার পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। দূষণ নিয়ন্ত্রণে পাথর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে বৈঠক করে বন্ধের ডাক গিয়েছিল আদিবাসী গাঁওতা। রবিবার সেই বৈঠক থেকে ফেরার পথে আদিবাসী গাঁওতার সদস্যেরা পাথর ব্যবসায়ী ও কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.