|
|
|
|
গরু পাচারের প্রতিবাদে দুষ্কৃতীদের হামলা গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
গরু পাচারের প্রতিবাদ করায় ফের সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাল বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বনগাঁর সুটিয়া গ্রামে। রবিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েকশো দুষ্কৃতী ওই গ্রামে ঢুকে বাসিন্দাদের মারধর করে, পাঠকাঠির স্তূপে এবং খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়। গ্রামবাসীদের দাবি, দুষ্কৃতীরা সকলেই বাংলাদেশি। একই বক্তব্য পুলিশেরও।
ওই গ্রামে পুলিশ পিকেট রয়েছে বেশ কিছু দিন ধরে। কিন্তু পুলিশকর্মী সংখ্যায় ছিলেন জনা পাঁচেক। তাঁদের পক্ষে ওই হামলা ঠেকানো সম্ভব ছিল না। দুষ্কৃতীরা চলে গেলে গ্রামবাসীদের রাগ গিয়ে পড়ে পুলিশের উপরে। তাঁরা পুলিশকর্মীদের নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ।
বনগাঁর ভারপ্রাপ্ত এসডিপিও সমরেন্দ্র দাশ বলেন, “বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের গ্রামবাসীরা বাধা দেন। এক জনকে ধরেও ফেলেন। কিন্তু বাকি দুষ্কৃতীরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। দুষ্কৃতীদের তাড়াতে বিএসএফ দু’টি গ্রেনেড ছোড়ে।” তিনি জানান, গ্রামে পুলিশ পিকেট থাকবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা দিয়ে গরু পাচার ইদানীং বেড়ে গিয়েছে। রবিবার বিকেলেও বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা গ্রামের খেত দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা বাধা দেন। তাড়া করে এক জনকে ধরেও ফেলেন। বাকিরা পালায়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েকশো বাংলাদেশি দুষ্কৃতী কোদালিয়া নদী পেরিয়ে গ্রামে এসে তাণ্ডব শুরু করে। আটক দুষ্কৃতীকে ছাড়িয়ে নিয়ে কয়েকটি পাটকাঠির স্তূপ ও খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়। দুষ্কৃতীদের মারে জখম হন অন্তত পাঁচ গ্রামবাসী। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে। প্রসঙ্গত, কালীপুজোর আগেও গরু পাচারের প্রতিবাদ করায় কয়েকশো দুষ্কৃতী বাংলাদেশ থেকে এসে ওই ওই গ্রামের বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর করে। কয়েক জন গ্রামবাসী দুষ্কৃতীদের মারে জখম হন। |
|
|
|
|
|