|
|
|
|
এটাই প্রথা, ব্যাখ্যা বণ্টনের |
নৈনানে অভিযানের কথা আগে জানানো হয়নি, বলছে পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মগরাহাটের নৈনান-মল্লিকপাড়ায় যে অবৈধ সংযোগ কাটার অভিযান চালানো হবে, তা রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে নির্দিষ্ট করে পুলিশকে জানানো হয়নি বলে পুলিশ কর্তাদের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, সেটা জানা থাকলে বৃহস্পতিবার অভিযানে যাওয়ার আগে ‘অন্য রকম’ ব্যবস্থা হতো।
মহাকরণ-সূত্রের খবর: ওই দিন হুকিং কাটার অভিযানের জন্য বিদ্যুৎ-কর্তারা প্রথমে ২০ জন পুলিশকর্মী চেয়েছিলেন। সেই মতো ২৩ জন পুলিশ যায়। পরে বোঝা যায়, লাইন কাটা হবে নৈনান গ্রামে। যেখানে অন্তত ৬০% বিদ্যুৎই হুকিং করে নেওয়া হয় পুলিশের আনুমানিক হিসেব। এবং পুলিশ-কর্তাদের মতে, এমন একটা জায়গায় অবৈধ সংযোগ কাটতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হওয়াটা খুব অস্বাভাবিক নয়। বাস্তবে সে দিন হয়েছেও তা-ই।
পুলিশের এ হেন ব্যাখ্যা অবশ্য বণ্টন সংস্থার কর্তারা মানতে নারাজ। ওঁদের এক জনের বক্তব্য: হুকিং-বিরোধী অভিযান কোথায় হবে, সে কথা তাঁরা কখনওই নির্দিষ্ট ভাবে কাউকে জানান না, এমনকী পুলিশকেও না। আর এই প্রথা মেনেই বণ্টন সংস্থার তরফে পুলিশকে শুধু বলা হয়েছিল যে, ১ ডিসেম্বর মগরাহাট থানা অঞ্চলে অভিযান হবে। নির্দিষ্ট কোনও গ্রামের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তিনি বলেন, পুলিশ তাঁদের উড়েলচাঁদপুর-সহ স্থানীয় কিছু জায়গায় অভিযান চালাতে নিষেধ করেছিল। কারণ, কিছু দিন আগে সেখানে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু নৈনান সম্পর্কে সতর্ক করা হয়নি বলে দাবি করেছেন ওই বণ্টন-কর্তা।
মগরাহাট যে মহকুমার অন্তর্গত, সেই ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও-র ভূমিকা নিয়েও পুলিশের উপরমহল ‘খুশি’ নয়। মহাকরণের খবর: এসডিপিও সে দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতির ‘সঠিক মূল্যায়ন’ করতে পারেননি বলে রিপোর্ট এসেছে। বলা হয়েছে, অবস্থা ‘ঠিকমতো না-বুঝে’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলেই গুলি চলে, এবং পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়। সংশ্লিষ্ট এসডিপিও-কে সরানোর ব্যাপারেও ভাবনা-চিন্তা চলছে বলে মহাকরণ সূত্রে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|