নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা আর কাটছে না জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভায়। পুরসভার বেশ কিছু এলাকার রাস্তাও বেহাল। এই পুরসভার নিকাশির সমস্যা দীর্ঘ দিনের। আগে পুরবোর্ড ছিল কংগ্রেসের দখলে। ২০০৫ সালের পুর-নির্বাচনে জয়লাভ করে বোর্ড গঠন করে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। ২০১০ সালে ফের ক্ষমতায় আসে তারা। কিন্তু নিকাশি সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মলয় রায় বলেন, “অত্যাধুনিক নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তা খুঁড়ে একের পর এক ড্রেন তৈরি করেছে এই বোর্ড। জলনিকাশের সমস্যা একই রয়ে গিয়েছে। এমনকী জিয়াগঞ্জ এলাকার বাড়তি জল পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার দুটি পথই গত ছ-বছরে তারা সংস্কার করেনি। ফলে নিকাশি সমস্যা ভয়াবহ আকার নিয়েছে।” পুরপ্রধান সিপিএমের শঙ্কর মণ্ডল বলেন, “পুরসভার যে দুটি পথ দিয়ে জল বের করে দেওয়া হয়, তা কংগ্রেস পরিচালিত বাগডহরা পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। ওই কাজ করার জন্য পঞ্চায়েত ৪০ শতাংশ ও পুর-কর্তৃপক্ষ ৬০ শতাংশ অর্থ দিয়ে থাকে। সেই মতোই কাজ হয়েছে। সে কথা কংগ্রেস নেতাদেরও জানার কথা।” কিন্তু প্রাক্তন পুরপ্রধান সন্তোষ সিংহ চাওলার অভিযোগ, যেখানে কাজ হয়েছে, সেখানেও ভাল করে কাজ করা হয়নি। তিনি বলেন, “৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিগঞ্জ এলাকায় ১৩ লক্ষ টাকা দিয়ে ড্রেন তৈরি হলেও নিম্ন মানের কাজ হওয়ায় নর্দমার মধ্যেই জল দাঁড়িয়ে থাকছে। স্যালো মেশিন দিয়ে ওই জল বের করা হচ্ছে। আর একটি ওয়ার্ডে ১০-১২ লক্ষ টাকা দিয়ে ড্রেন করলেও সেখানে জনবসতি নেই।” তাঁর অভিযোগ, “পুরসভার ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে।” আজিমগঞ্জের বাসিন্দা ভবেশ ঠাকুরের কথায়, “আজিমগঞ্জের ৪টি ওয়ার্ডে নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। প্রতি বর্ষায় ডুবতে হয়।” পুরপ্রধান বলেন, “ক্ষমতায় এসে গত ৬ বছরে আমরা যে উন্নত মানের নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, তা দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থেকেও কংগ্রেস তা পারেনি। তবে সব কাজ যে আমরা করতে পেরেছি, তাও নয়। তবে শহরটাকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। জলনিকাশি ব্যবস্থা-সহ আগামী কয়েক বছরে উন্নত পুর-পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।” |