এক সময়ে কেশপুরে সিপিএমই ছিল ‘শেষ কথা’। আর ‘তিনি’ সিপিএমের দাপুটে সেনাপতি। সেই এন্তাজ আলির বাড়িতে সোমবার তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হানা দিল পুলিশ। |
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে যে ৩৯ জন সিপিএম নেতা-কর্মী ‘ফেরার’ রয়েছেন, তাঁদের নামে হুলিয়া জারি হয়েছিল আগেই। ২৫ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কেউই হাজির হননি। আদালত এর পর তাঁদের ‘পলাতক অভিযুক্ত’ ঘোষণা করে অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মোতাবেকই এ দিন কেশপুরের চড়কায় এন্তাজ আলির বাড়িতে যায় পুলিশ। দোতলার একটি ঘরে থাকতেন এই সিপিএম নেতা। এ দিন সেই ঘর থেকেই আসবাবপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরিজনেদের বক্তব্য, যৌথ পরিবার। সম্পত্তির ভাগাভাগি হয়নি। এন্তাজ দীর্ঘ দিন ধরেই থাকতেন কেশপুরে দলের জোনাল অফিস জামশেদ আলি ভবনে। তবে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে পুলিশকে বাধা পেতে হয়নি। পরিজনেরা এন্তাজকে পরিবারের এক জনের চেয়েও ‘বড় নেতা’ বলে মনে করেন। খোলাখুলি জানান তা-ও।
নিয়ামৎ আলি, কাশেম আলি, তন্ময় ঘোষের মতো ‘ফেরার’দের অস্থাবর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করে কেশপুর থানার পুলিশ। তবে, কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক তরুণ রায়, জেলা-নেতা হীরালাল ভুঁইয়া ও বিপদতারণ ঘোষের বাড়ি তালাবন্ধ দেখেই ফিরতে হয় পুলিশকে। আনন্দপুর, গড়বেতা থানা এলাকাতেও এই মামলায় অভিযুক্ত ‘পলাতক’ সিপিএম নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। আনন্দপুর থানা এলাকায় ৫ ও গড়বেতায় ২ জনের বাড়ি থেকে আসবাবপত্র বাজেয়াপ্ত হয়। রবিবারও কেশপুরের ৩ ফেরার সিপিএম নেতার অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে এক সময়ে দলের জেলা কমিটির সদস্য ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন বন-ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম। |