পরেশ অনুগামী আলফা গোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষ নেতা জীবন মরানের গ্রেফতার নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। আলফার অর্থ সচিব জীবন আদৌ ধরা পড়েছেন কিনা এবং ধরা পড়লে তিনি কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে পরিষ্কার কোনও খবর নেই। রটেছিল, জীবনের সঙ্গেই আটক করা হয় গুয়াহাটির দুই সাংবাদিককে। তাঁরাই বা এখন ঠিক কোথায় রয়েছেন? গোটা ব্যাপারটাই আপাতত অনেকটাই রহস্যাবৃত।
শনিবার রাতে এবং রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব আর কে সিংহ জানিয়েছিলেন, জীবন মরান ও গুয়াহাটির দুই সাংবাদিক মায়ানমারে সেনার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু, কাল রাতে যুগ্ম সচিব (উত্তর-পূর্ব) শম্ভু সিংহ জানান, জীবন মরান বা আলফার কোনও শীর্ষ নেতার গ্রেফতার হওয়ার বিষয়ে খবর তাঁদের নেই। এ নিয়ে মায়ানমার সরকার ভারত সরকারকে কিছু জানায়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও সেনা সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, ধরা পড়া সাংবাদিকদের মায়ানমার সেনা ছেড়ে দিয়েছে। তবে, তাঁদের ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেড়ে নেওয়া হয়। সাংবাদিকদের মায়ানমার-মণিপুর সীমান্তের মোরেতে আসাম রাইফেলসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ, মোরে থেকে নিজের সংবাদপত্রে লেখাও পাঠিয়েছেন ওই সাংবাদিক। পরেশ বরুয়ার সাক্ষাৎকার নেওয়ার উদ্দেশে অক্টোবর মাসে দুই সাংবাদিক মায়ানমারে রওনা হয়েছিলেন। সংবাদপত্রের সম্পাদক নিজস্ব কলামেও বারবার সেই কথা ঘোষণা করেছিলেন। সাংবাদিকরা গোপন ঘাঁটিতে অভিযানের বিষয়ে ফেসবুক-টুইটারে বারবার লিখেছেন। ফলে, সেনা গোয়েন্দারা তাঁদের মোবাইল ট্যাপ করে, মায়ানমারে আলফা ঘাঁটির সন্ধান চালান। সাংবাদিকদের কাছ থেকে পাওয়া বিবরণ, টেপ রেকর্ডার, ল্যাপটপ ও ছবি ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দিতে পারে মায়ানমারের সেনা।
|