এক বালিকার মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল ঘাটাল শহরে। ভুল ওষুধে মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ তুলে মৃতার বাড়ির লোকজন চিকিৎসকের চেম্বারে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মৃত ওই বালিকার নাম সুকন্যা বিশ্বাস (৭)। চন্দ্রকোনা থানার বেটাগ্রামে তার বাড়ি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে মেয়ে সুকন্যার গলায় ব্যথার চিকিৎসা করাতে ঘাটাল শহরের কোন্নগরে আশিস মিশ্রের প্রাইভেট চেম্বারে এসেছিলেন সুভাষ বিশ্বাস। আশিসবাবু ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক। এ দিন হাসপাতালে ডিউটি না থাকায় প্রাইভেট চেম্বারেই তিনি রোগী দেখছিলেন। সুভাষবাবুর অভিযোগ, “মেয়ের গলার স্বর বসে গিয়েছিল। ডাক্তারবাবু চেম্বারেই মেয়েকে ওষুধ খাওয়ান। বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষা করার সময় দেখি মেয়ে ছটফট করছে। সঙ্গে সঙ্গে ফের চেম্বারে নিয়ে যাই। ডাক্তারবাবু হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। হেঁটে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মেয়ের মৃত্যু হয়।” সুভাষবাবুর অভিযোগ, “চিকিৎসকের ভুল ওষুধেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।” যদিও চিকিৎসক আশিস মিশ্রের বক্তব্য, “মেয়েটির স্নায়ুরোগ ছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও ওষুধে কোনও প্রভাব পড়লে সঙ্গে-সঙ্গেই জানা যেত। ওঁরা চেম্বার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পরে ওই বালিকাকে নিয়ে ফের আসেন আমার কাছে।” আশিসবাবুর দাবি, “চিকিৎসায় কোনও ত্রুটি ছিল না। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।” ঘাটালের সিআই অসিত সামন্ত জানান, দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য ঘাটাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
কর্মশালা। কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের শিশু শিক্ষাকেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের সহায়িকা ও সম্প্রসারিকাদের নিয়ে সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। কর্মশালায় মিড-ডে মিলের প্রকল্পে স্বচ্ছতা, ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পাশাপাশি শিশুদের পঠনপাঠনে জোর দেওয়ার কথা বলেন নোডাল অফিসার রতন মাইতি, সুপারভাইজর মন্দাকিনী মণ্ডল, আরতি বেরা ও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অমিতাভ গিরি। |