ক্যান্টিন নেই, রোগীর বিছানাতেই খাওয়া-দাওয়া সারেন আত্মীয়েরা
রাত বিরেতে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে এসে চরম সমস্যায় পড়তে হয় বাড়ির লোকেদের। কান্দি মহকুমা হাসপাতালের কোথাও খাওয়ার কোনও জায়গাই নেই। আর সেই সুযোগে হাসপাতালের দরজার ঠিক বাইরেই চড়া দামে খাবার বিক্রি হয়। বাধ্য হয়ে সেই খাবারই কিনতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের। আড়াইশো শয্যার এই হাসপাতালে প্রতি দিনই ভিড় জমান আশপাশের পাঁচটি ব্লকের মানুষ। অভিযোগ, হাসপাতালে অনেক দিন ধরেই এই সমস্যা রয়েছে। কিন্তু ক্যান্টিন তৈরির উদ্যোগই করেনি কর্তৃপক্ষ। আর যারা বেশি দামে খাবার কিনতে পারেন না? তাঁরা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসেন। অনেক সময়ে রোগীর বাড়ির লোকেরা রোগীর বিছানাতেই খাবার নিয়ে বসে পড়েন, কিংবা ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে সেখানেই দুপুরের খাওয়া সারেন। স্বাভাবিক ভাবেই নোংরা হচ্ছে হাসপাতাল। সে দিকে কারোর নজর নেই বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। যদিও বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতাল, ডোমকল ও লালবাগ হাসপাতালেও মাতৃসদন হাসপাতালেও ক্যান্টিনের ব্যবস্থা আছে। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে দু’দিন হাসপাতালে আসছেন গোপালপুরের বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম। জরুরি বিভাগের সামনে ‘টিফিন ক্যারিয়ার’ বের করে দুপুরের খাওয়া সারতে হচ্ছে তাঁদের। তিনি বলেন, “ছেলের কাছে আমি একাই রয়েছি। বাইরে বেরিয়ে খাওয়ার সময় নেই।” কান্দি পুরসভার কাউন্সিলর কংগ্রেসের রাজকুমার দাস বলেন, “হাসপাতালে ক্যান্টিনের দরকার রয়েছে। পাঁচটি ব্লকের বাসিন্দারা হাসপাতালে আসেন। নোংরা হচ্ছে ওয়ার্ডও।”
হাসপাতাল সুপার মৃগাঙ্ক মৌলি কর বলেন, “ক্যান্টিন তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। আশা করছি তা তৈরি করা হলে হাসপাতাল আর নোংরা হবে না। যদিও মানুষের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। হাসপাতালে শৌচাগার থাকলেও খুব কম মানুষই তা ব্যবহার করেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.