|
|
|
|
লটারিতেই ভর্তি স্কুলে, সায় মুখ্যমন্ত্রীরও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রবেশিকা পরীক্ষা তো চলবেই না। সেই সঙ্গে ভর্তিতে লটারি ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার উদ্যোগে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। স্কুলশিক্ষা দফতরও চাইছিল, অন্তত এ বছর পর্যন্ত লটারি রেখে দেওয়া হোক। এই অবস্থায় স্কুলে ছাত্র ভর্তির জন্য শেষ পর্যন্ত লটারি ব্যবস্থা রেখে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন নিয়েই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
২০০৯ সালে পাশ হওয়া কেন্দ্রীয় শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে স্কুলে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা যাবে না। আর রাজ্য সরকার মনে করে, লটারি এক ধরনের ‘জুয়া’। তাই এই পদ্ধতিতে ছাত্র ভর্তিতে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। উল্টে ছাত্র ভর্তির পদ্ধতি স্কুলগুলির হাতেই ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিল রাজ্য সরকার। ১৯৯৫ সাল থেকে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে প্রথম শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তি হয় লটারির মাধ্যমে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি অবশ্য অনেক সময় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে ছাত্র ভর্তি করত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কী ভাবে ছাত্র ভর্তি করা হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় স্কুলগুলিতে।
স্কুলে ছাত্র ভর্তির বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক সংগঠন ও দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। পরে ছাত্র ভর্তির কয়েকটি বিকল্প পদ্ধতির কথা জানিয়ে মহাকরণে রিপোর্ট পাঠায় স্কুলশিক্ষা দফতর। স্কুল থেকে শিক্ষার্থীর বাড়ির দূরত্ব, অভিভাবকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, সংশ্লিষ্ট স্কুলে ওই পড়ুয়ার কোনও ভাই বা বোন পড়াশোনা করে কি না, এ-সবের পাশাপাশি রাশিবিজ্ঞানের পদ্ধতি ‘র্যান্ডম সিলেকশন’-এর মাধ্যমেও ছাত্র ভর্তির প্রস্তাব পাঠায় শিক্ষা দফতর। যদিও প্রতিটি পদ্ধতিরই কোনও না-কোনও খামতি রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় রিপোর্টে।
সরকারি সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, প্রবেশিকা পরীক্ষা বা লটারি ছাড়া প্রথম আবেদনের ভিত্তিতে (‘ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ’) স্কুলে ছাত্র ভর্তি করা যেতে পারে। কিন্তু এতে প্রশাসনিক অসুবিধা এবং অভিভাবকদের সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই লটারির মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “ভবিষ্যতের কথা বলতে পারব না। তবে ২০১২ সালে লটারির মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি হবে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।” |
|
|
|
|
|