টুকরো খবর
উত্তর ২৪ পরগনার দু’টি স্কুলভোটে জিতল বামেরা
উত্তর ২৪ পরগনার ১০টি স্কুল নির্বাচনের মধ্যে ২টিতে জিতল বামেরা। বাকিগুলিতে বামবিরোধীদেরই রমরমা। রবিবার বনগাঁর কালীচরণ হাওলাদার বালিকা বিদ্যাপীঠ, বাগদার বাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়, অশোকনগরের শক্তিগড় আচার্য দুর্গাপ্রসন্ন শিক্ষা নিকেতন এবং হাবরার রাজবল্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং গাইঘাটার শিমুলপুর আনন্দপাড়া নরহরি বিদ্যাপীঠে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়। প্রথম স্কুলটিতে বামেরা একটিও আসন পায়নি। তৃণমূল ৪টি এবং কংগ্রেস ২টি আসন পায়। আগের বারেও ওই স্কুলে বামবিরোধীরা জিতেছিল। কিন্তু পরিচালন সমিতি গঠন করে বামেরা। দ্বিতীয় স্কুলটিতে ৬টি আসনেই জিতে যায় তৃণমূল। বহু বছর বাদে এই স্কুলের পরিচালন সমিতি বামেদের হাতছাড়া হল। অশোকনগরের স্কুলটিতেও বামবিরোধীরা ক্ষমতা ধরে রেখেছে। হাবরার স্কুলে তৃণমূল ৪টি এবং কংগ্রেস ২টি আসন পায়। আগে এখানে বামেরা ছাড়া অন্য দলগুলি মিলিত ভাবে ‘শিক্ষা বাঁচাও কমিটি’ গড়ে পরিচালন সমিতি চালাত। গাইঘাটার স্কুলে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে। দক্ষিণ হাবরা হাইস্কুলে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট ক্ষমতা ধরে রাখে। ওই দিনই অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয় হিঙ্গলগঞ্জের পুঁটিয়া ব্রজমোহন বিদ্যাপীঠ এবং বসিরহাটের পিঁফা ব্রজেন্দ্রনাথ হাইস্কুলে। হিঙ্গলগঞ্জের স্কুলটিতে জিতে যায় বামেরা। সিপিএম ৪টি এবং সিপিআই ১টি আসন পায়। তৃণমূল জেতে একটি আসনে। এই স্কুলে আগে পরিচালন সমিতির ক্ষমতা ছিল তৃণমূলের হাতে। বসিরহাটের স্কুলে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট ৫টি এবং সিপিএম একটি আসনে জয়ী হয়। সন্দেশখালির জেলিয়াখালি বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে অবশ্য বাম প্রার্থীরা ৪টি আসনে জিতে যায়। দেগঙ্গার চৌরাশি হাইস্কুলে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট ৬টি আসনেই জিতে যায়।

পারিবারিক বিবাদেই খুন, মনে করছে পুলিশ
পারিবারিক বিবাদের জেরেই গাইঘাটার তৃণমূল কর্মী কমলেশ ঘোষ খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। রবিবার ভোরে কমলেশের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় সুটিয়ায় বাড়ির কাছেই একটি স্কুলের মাঠে। তৃণমূল কর্মী তথা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা কমলেশকে খুনের পিছনে সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মদত আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন দলের নেতারা। এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন স্থানীয় মানুষও। ওই দিনই গ্রেফতার করা হয় সুটিয়ার পশ্চিম বারাসত এলাকার বাসিন্দা সত্যজিৎ বিশ্বাসকে। সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে দশ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে ওই যুবক। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, শনিবার রাতে সত্যজিতের সঙ্গেই শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল কমলেশকে। পুলিশ জানিয়েছে, সুটিয়া বাজারে মোবাইল সারানোর দোকান আছে সত্যজিতের। তিনি কমলেশের দাদা শ্যামলের শ্যালক। সেই সূত্রে ওই বাড়িতে তাঁর যাতায়াত ছিল। সম্প্রতি নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় সত্যজিতের। কমলেশের স্ত্রী সুদীপ্তাকেও এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।

অনাস্থায় হেরে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে সরল বামেরা
তৃণমূলের আনা অনাস্থায় হেরে গিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতা হারাল বামেরা। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ওই ভোটাভুটি হয়। এর আগে ওই পঞ্চায়েত সমিতির ২০টি আসনের মধ্যে ১২টি বামেদের ও ৮টি তৃণমূলের ছিল। এ দিন তৃণমূল ১৫-০ ভোটে জয়লাভ করে। এর আগেও অবশ্য একবার তৃণমূলের তরফে অনাস্থা আনা হয়। কিন্তু সে বার তারা হেরে যায়। প্রসঙ্গত, এই পঞ্চায়েত সমিতিটি শাসন এলাকার মধ্যে পড়ে। বিধানসভা নিবার্চনে জিতে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে তৃণমূল ফের পঞ্চায়েত সমিতিটি দখল করতে উঠেপড়ে লাগে। বারাসতের মহকুমাশাসক কস্তুরী বিশ্বাস বলেন, “অনাস্থার পক্ষেই এ দিন সব ভোট পড়ে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, “আড়াই বছর ধরে এই পঞ্চায়েত সমিতি উন্নয়নের যাবতীয় কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সভাপতি নিজেই বেশিরভাগ দিন সমিতিতে আসতেন না। শাসনের অত্যাচার থেকে মানুষ এখন মুক্ত। তাঁরা উন্নয়ন চান। সেই কারণেই আমরা অনাস্থা এনেছিলাম এবং জয়ী হয়েছি।”এ দিন ভোটাভুটিতে উপস্থিত ১৫ জনের মধ্যে সাতজনই ছিলেন বাম সদস্য। কেন এই হার? এর উত্তরে সিপিএমের দাবি, বামেদের ১২ জন সদস্যের মধ্যে একজনকে আগেই ভয় দেখিয়ে দল চাড়তে বাধ্য করে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তৃণমূল। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমিতাভ নন্দী বলেন, “আমাদের ১১ জন সদস্যের মধ্যে ৭ জনকে ওরা সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার এবং খুনের হুমকি দিয়ে ওদের পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করেছে। অন্যদেরও ভয় দেখাচ্ছে।” তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

শিশু দিবসে নানা অনুষ্ঠান
‘শিশু দিবস’ উপলক্ষে সোমবার থেকে অশোকনগরের কল্যাণগড়ে শুরু হল ১১ তম ‘শিশু উৎসব’। উদ্বোধন করেন অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর দত্ত। জওহরলাল নেহরুর মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। এলাকার কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলের ছেলেমেয়েরা দু’টি নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে। ১২ জানুয়ারি দেওয়াল-অঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসব চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। অন্য দিকে, এ দিন বনগাঁর জয়পুর ফুলতলা এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকেও ‘শিশু দিবস’ উদ্যাপন করা হল। ছিল দেওয়াল-অঙ্কন প্রতিযোগিতা। বিষয়ইছামতী সংস্কার, পরিবেশ দূষণ, যানজটমুক্ত যশোহর রোড। এ ছাড়াও, শতাধিক কচিকাঁচা রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দ এবং জওহরলাল নেহরুর ছবি আঁকে। ছিল নাচ, গান, আবৃত্তি-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। অন্যদিকে, সোমবার পথ নাটিকার মধ্যে দিয়ে শিসুদিবস পালন করল বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগরের গোকুলপুর কাহারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বিদ্যাসাগর, মহাত্মা গাঁধী, জওহরলাল নেহরুর সাজে সজ্জিত পড়ুয়াদের এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা তেঁতুলিয়া থেকে স্বরূপনগর পর্যন্ত পথ পরিক্রমা করে। এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্বরূপনগর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কৃৃষ্ণেন্দু নন্দী, সুবীর মুখোপাধ্যায়, তপন পরমাণিক প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন কাহারপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং অবকাশ সাংস্কৃতিক চক্র।

বৈদ্যবাটিতে ফুটবল
বৈদ্যবাটির বিএস পার্ক ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর তরুণ সঙ্ঘ। রবিবার ফাইনালে তারা ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় হুগলির ভদ্রেশ্বর সবুজ পরিষদকে। বিএস পার্ক ক্লাবের ৭৫ পূর্তি উপলক্ষে এক সপ্তাহ ধরে এই প্রতিযোগিতা চলে। হুগলি, হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার ৮টি দল যোগ দিয়েছিল। ফাইনালে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার চিমা ওকোরি, প্রশান্ত চক্রবর্তী, বর্তমান ফুটবলার লালকমল ভৌমিক প্রমুখ। চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ‘রবি নন্দী উইনার্স ট্রফি’ এবং রানার্স দলের হাতে ‘দীনবন্ধু মুখার্জি রানার্স ট্রফি’ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও দু’টি দলকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়।

চোলাই মদের বিরুদ্ধে অভিযান
ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা গ্রাম থেকে প্রায় ১২০০ লিটার চোলাই মদ আটক করল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার শেষ রাতে এসডিপিও (ক্যানিং) পিনাকীরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশ। তিনটি চোলাইয়ের ভাটি ভেঙে ফেলা হয় এবং চোলাই তৈরির সামগ্রী আটক করা হয়। তবে, কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

বই প্রকাশ
সম্প্রতি বনগাঁর পাবলিক লাইব্রেরির পাঠকক্ষে আলাদা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দু’টি বই প্রকাশিত হল। একটি কবি সুশান্ত ভট্টাচার্যের কাব্যগ্রন্থ ‘ফাটা ঢোল বাজাতে আসিনি’। এই বইতে রয়েছে মোট ৫৫টি কবিতা। অন্য বইটি প্রয়াত সাহিত্যিক অনিল চৌধুরীর রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে সংকলন। নাম ‘ছিন্নপত্র ও রবীন্দ্রনাথ’।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.