মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার নদী ভাঙন প্রতিরোধের বিষয়ে তিন দশক আগের বামফ্রন্ট সরকারের দাবিকেই হাতিয়ার করলেন কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট সরকারের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
বাম সরকারের সেচমন্ত্রীর মতো জোট সরকারের সেচমন্ত্রী মানসবাবুও রাজ্যের দলীয় সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে নদী ভাঙন মোকাবিলায় দিল্লি অভিযান করতে চলেছেন। তিনি বলেন, “মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার নদী ভাঙনকে জাতীয় সমস্যা হিসাবে গন্য করার জন্য রাজ্যের ৪২ জন দলীয় বিধায়ককে নিয়ে দিল্লি অভিযান করা হবে।” তিনি জানান, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি লোকসভার অধিবেশন চলার সময়ই দিল্লি অভিযান করা হবে। নেতৃত্ব দেবেন কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরব। সঙ্গে থাকবেন সাংসদ অধীর চৌধুরী। প্রধানন্ত্রী, জলসম্পদ মন্ত্রী ও যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ার পার্সনের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা দাবি জানাবেন। রাজ্যের সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার নদী ভাঙন প্রতিরোধ অসম্ভব। গঙ্গা-পদ্মার ভাঙনকে জাতীয় বিপর্যয়ের স্বীকৃতির দাবিতে দেড় দশক আগের প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়াকে পর্যন্ত বামফ্রন্ট সরকারের চাপে ফরাক্কা ছুটতে হয়েছিল। আকাশপথে তিনি মালদহ ও মুর্শিদাবাদের নদী ভাঙন তাঁকে দেখতে হয়েছিল। তার জন্য অবশ্য বাম সরকারের তৎকালীন সেচমন্ত্রী দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য বামফ্রন্টের সব সাংসদ ও বিধায়ক দিল্লি অভিযান করেন। তার পর তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের জলসম্পদ মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক ভাবে আকাশ পথে ওই দুই জেলার গঙ্গা-পদ্মার ভাঙন পরিদর্শন করেন। ২০০২ সালে একই দাবিতে ফরাক্কা থেকে জলঙ্গি পর্যন্ত নদীর পাড় বরাবর ১৭২ কিলোমিটার পদযাত্রা করে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস। ওই পদযাত্রার উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। পরে ২০০৪ সালে প্রণববাবুর উদ্যোগে ফরাক্কা ব্যারাজের উপরের দিকে ৪০ কিলোমিটার এবং নীচের দিকে ৮০ কিলোমিটার নদী ভাঙন প্রতিরোধের দায়িত্ব নেয় কেন্দ্র। গত রবিবার বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে জেলা কংগ্রেসের পঞ্চায়েতিরাজ কনভেনশনে মানসবাবু বলেন, “গঙ্গা-পদ্মার ভাঙন জাতীয় সমস্যা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।” |