ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে গেল দু’জনই |
পুকুরে নেমে আচমকাই গভীর জলে চলে গিয়ে খাবি খাচ্ছিল ছেলেটি। চোখের সামনে ভাইকে ডুবতে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বছর দশেকের দিদি। কিন্তু ঘোলা জল থেকে ভাইকে টেনে তুলতে গিয়ে ছোট্ট মেয়েটি নিজেই তলিয়ে যায়। সোমবার দুপুরে নাকাশিপাড়ার পাটিকাবাড়ি স্কুলপাড়ার একটি পুকুরে এ ভাবেই মারা গিয়েছে অনামিকা সরকার (১০) আর তার ভাই অনির্বাণ (৮)। অনামিকা পাঠিকাবাড়ির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। অনির্বান ওই স্কুলেই দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। পকুর পাড়েই কেলা করছিল আরও কয়েকটি ছেলে-মেয়ে। তারাই ছুটে গিয়ে খবর দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাছ ধরার জাল নিয়ে লোকজন পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। উদ্ধার করা হয় তাদের দেহ। কিন্তু বেথুয়াডহরি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান মারা গিয়েছে দু-জনেই।
পুকুর পাড়েই বাড়ি অনামিকাদের। অন্য দিনের মতো এ দিনও তারা পুকুরপাড়ে খেলা করছিল। নাকাশিপাড়ার বিডিও পার্থপ্রতীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শুনলাম খেলতে খেলতে ভাইটি প্রথমে জলে পড়ে যায়। তাকে ডুবতে দেখে জলে ঝাঁপ দেয় দিদি। কিন্তু দু’ জনের কেউই সাঁতার জানত না।” প্রতিবেশী শান্তিরঞ্জন মণ্ডল বলেন, “দুই ভাই-বোন পিঠোপিঠি। দু’ জনের মধ্যে খুব মিল ছিল। প্রায় সব সময় তারা দু’ জনে এক সঙ্গে খেলে বেড়াত। স্নান করতে, পড়তে, বেড়াতে দু’ জনকে আলাদা দেখা যেত না। তাই চোখের সামনে ভাইকে ডুবতে দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি অনামিকা। দু-জনে একসঙ্গেই তাই তলিয়ে গেল বোধহয়!”
|
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। সোমবার সকালে বীরভূমের ময়ুরেশ্বরের মহিষ গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম জয়দেব শর্মা (৩১)। বাড়ি ধানতলায়। তিনি পেশায় ট্রাক চালক ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়া-কান্দি রাজ্য সড়কে ওই চালক ট্রাক থামিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অন্য একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে। জখম ওই চালককে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে ট্রাক চালক পলাতক।
|
ট্রেন ধরতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন এক ব্যক্তি। সোমবার দুপুরে রানাঘাট স্টেশনে ট্রেন ধরতে গিয়ে পাঁচুগোপাল কাপুরিয়া নামে ওই ব্যক্তি জখম হন। বাড়ি রানাঘাটের মহাপ্রভু পাড়ায়। তাঁকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রানাঘাট জিআরপি-র আইসি রঞ্জিত দাস বলেন, “আহতকে প্রথমে রেলের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
|
আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে একটি মুদির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইল ফোন চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে সালারের মহাজনপট্টি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯-১০ জনের একটি দল এ দিন রাতে দোকান বন্ধ করার সময়ে হামলা করে। লুঠ করে পালানোর সময়ে তারা এলাকায় দু’টি বোমাও ফাটায়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত করা হচ্ছে।
|
সি পি এম পরিচালিত শান্তিপুর থানার নবলা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু নথিপত্র চুরি গিয়েছে। রবিবার রাতে ওই চুরির ঘটনায় খোয়া গিয়েছে টেন্ডারের কাগজপত্র, ব্যাঙ্কের চেক, অর্থ স্থায়ী সমিতির রেজুলেশান খাতা, ২টি সাইকেল-ও। পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বনাথ প্রামাণিক বলেন, “৯টি আলমারির তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা কাগজপত্র তচনছ করেছে।” |