|
|
|
|
সংগঠন মজবুতে উদ্যোগী তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। রাজ্যের সরকার তৃণমূলের দখলে থাকলেও বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ এখনও সিপিএমেরই দখলে। পশ্চিম মেদিনীপুরেও তাই। বিধানসভার ‘সাফল্য’ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও পেতে বুথস্তরেও যে মজবুত সংগঠন প্রয়োজন, তা উপলব্ধি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কী ভাবে বুথস্তর থেকে সংগঠন গড়ে তোলা হবে, বুথের সঙ্গে জেলার সমন্বয় গড়ে তোলা হবেসে নিয়েই সোমবার বৈঠকে বসে তৃণমূলের জেলা কমিটি। দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “জেলার ২৯টি ব্লকের বেশিরভাগ এলাকাতেই বুথস্তরে এখনও সংগঠন করা যায়নি। আগে সিপিএমের সন্ত্রাসের ফলে করা সম্ভব হয়নি। এখনও কিছু সমস্যার কারণে একটু দেরি হয়েছে। কিন্তু এ বার আমরা বুথস্তর থেকে সংগঠনকে মজবুত করতে চাই।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার বুথ রয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে প্রতিটি বুথে কমপক্ষে ৫ জন সক্রিয় কর্মী চিহ্নিত করতে উদ্যোগী হচ্ছে দল। যাঁদের নেতৃত্বেই বুথ এলাকায় সংগঠন বাড়ানো হবে। বুথস্তরে বৈঠকে যোগ দেবেন জেলা নেতারাও। তার পর অঞ্চলস্তরে ও ব্লকস্তরে সংগঠন মজবুত করা হবে। ডিসেম্বরের ৭ তারিখের মধ্যে প্রতিটি বুথে ছোট কমিটি তৈরির লক্ষ্য স্থির হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আঞ্চলিক-স্তরে এবং ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্লকস্তরের কমিটি বৈঠক করবে। প্রতিটি ব্লকেই অবশ্য কমিটি রয়েছে। কিন্তু অঞ্চল-কমিটি দুর্বল। এই পর্ব মেটার পর বুথ, অঞ্চল ও ব্লকস্তরের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জেলস্তরে বড়সড় পদযাত্রারও পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূল নেতাদের।
কিন্তু বর্তমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। তাতে জনমানসে দলের ভাবমূর্তি ধাক্কা খাচ্ছে। সংগঠন মজবুত করার প্রক্রিয়াও অনেক জায়গায় দানা বাঁধছে না। সমন্বয় কমিটি গড়ে, পরিদশর্ক পাঠিয়েও দ্বন্দ্ব মেটানো যাচ্ছে না। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্য পেতে মজবুত সংগঠনের বিকল্প নেই। সে কারণেই বুথস্তরে সংগঠন গড়তে এত তৎপরতা। গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের ঘটনায় কোনও পক্ষ থানায় অভিযোগ জানাতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। সমস্যা মেটাতে হবে দলীয়স্তরে আলোচনার ভিত্তিতেই। দলের ভাবমূর্তি যাতে আর ক্ষতিগ্রস্ত না-হয়, সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে দলের এক জেলা নেতা জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|