নেতাই মামলার শুনানি পিছোল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নেতাই-কাণ্ডে বিচারপর্ব শুরুর দিন পিছিয়ে গেল।
কঙ্কাল-কাণ্ডে সুশান্ত ঘোষের জেলে থাকার মেয়াদ বাড়ল।
ছোট আঙারিয়া-কাণ্ডে দিল মহম্মদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দিনও পিছোল। এই তিনটি মামলা নিয়ে সোমবার দিনভর ব্যস্ততা চলল মেদিনীপুর আদালতে। |
|
কঙ্কাল-কাণ্ডে হাজিরা সুশান্ত ঘোষের। |
নেতাই মামলার বিচারপর্ব শুরু হওয়ার কথা ছিল এ দিন। বন্দি ১২ জন সিপিএম নেতা-কর্মীকে এ দিন আদালতে হাজিরও করা হয়েছিল। সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন দুই প্রত্যক্ষদর্শী রঞ্জিত পাত্র ও দ্বারিকানাথ পণ্ডা। কিন্তু অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে জানান, চার্জ গঠনের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। সেটি বিবেচনাধীন রয়েছে। তাই বিচারপর্ব এখনই শুরু না করতে আর্জি জানান তিনি। সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থ তপস্বী পাল্টা জানান, অনন্তকাল অপেক্ষা করা সমীচীন নয়। শেষ পর্যন্ত বিশেষ দায়রা বিচারক মধুমতী মিত্র এক মাস পর অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর মামলার দিন নির্দিষ্ট করেন।
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে সুশান্ত ঘোষ-সহ ১৪ জন বন্দির হাজিরার দিনও ছিল এ দিন। দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে ১৯ বন্দির মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ-সহ ১৪ জনকে এ দিন তোলা হয় সিজেএম আদালতে। এ দিনই তাঁদের চার্জশিটের প্রতিলিপি দেওয়া হয়। সিজেএম অমিতাভ দাস প্রত্যেককেই আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পরবর্তী হাজিরার দিন ২৮ নভেম্বর। |
|
নেতাই মামলার বিচার শুরু না হওয়ায় হতাশ নিহত অরূপ পাত্রের বাবা রঞ্জিতবাবু। মেদিনীপুর আদালতে। |
আর ছোট আঙারিয়া মামলায় বন্দি দিল মহম্মদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন পিছিয়ে গেল ২৯ নভেম্বর অবধি। দিল মহম্মদের আইনজীবী এ দিন আদালতে জানান, তাঁরা এ দিনই মামলা সংক্রান্ত একটি নথি পেয়েছেন। চার্জ গঠন নিয়ে শুনানির জন্য আরও কিছু সময় চান তিনি। তার প্রেক্ষিতেই ২৯ নভেম্বর চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেন পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। |
নিজস্ব চিত্র। |
|