|
|
|
|
পূর্বে পরিচয়পত্র বিলি মন্ত্রীর |
ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নে জোর মানসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বন্ধ ও রুগ্ন ক্ষুদ্র শিল্প ইউনিটগুলির বর্তমান পরিস্থিতি জানতে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট দিয়ে সমীক্ষা করাচ্ছে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দফতর। আগামী বছর মে মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের হস্ত ও তাঁতশিল্পীদের পরিচয়পত্র বিতরণের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এমনটাই জানালেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তমলুকে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “সমীক্ষার মূল উদ্দেশ্য রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প ইউনিটগুলির সমস্যা চিহ্নিত করে তাদের সাহায্যার্থে পুনরীজ্জবনের পরিকল্পনা তৈরি করা।” এ ছাড়াও ব্যাঙ্কঋণের সুবিধা করে দিতে ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের পরিচয়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাজ্যে ক্ষুদ্রশিল্প ইউনিটের সংখ্যা ২৫ লক্ষেরও বেশি। কিন্তু মাত্র ৪৩ হাজার ক্ষুদ্র শিল্প ইউনিটের নাম সরকারি ভাবে নথিভুক্ত রয়েছে বলে এ দিন জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা সমস্ত ক্ষুদ্র শিল্প ইউনিটগুলির নাম নথিভুক্ত করতে চাই। ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নে জেলা স্তরে পরামর্শদাতা কমিটি গড়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে কমিটিতে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক ও স্থানীয় বিধায়ক-সহ জনপ্রতিনিধিরাও থাকবেন।” বিগত বাম সরকারের সমালোচনা করে মানসবাবু বলেন, “সরকারি বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে দলবাজি করেই ৩০ বছর কাটিয়ে দিয়েছে ওরা। সব কিছু লুকিয়ে করত। ফলে প্রকৃত প্রাপকেরা বঞ্চিত হতেন। আমরা লুকোছাপা চাই না। তাই অনুষ্ঠান করে সরাসরি শিল্পীদের হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে।” মন্ত্রী জানান, রাজ্যে সাড়ে সাত লক্ষ তন্তুবায় ও সাড়ে পাঁচ লক্ষ হস্তশিল্পীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর বাইরেও কেউ আছে কিনা তার খোঁজ করতে বলা হয়েছে। সকলকে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এ ছাড়াও ঋণ ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়ার জন্য ঋণপত্র ও স্বাস্থ্যবিমাপত্র দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে হস্তশিল্পীদের জোট বেধে গুচ্ছপ্রকল্প গড়ে তুলতে হবে। গুণগত মান বাড়ানোয় জোর দিতে হবে।” দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অনুপকুমার চন্দ জানান, আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে হস্তশিল্পীদের পরিচয়পত্র বিতরণের কাজ শেষ করতে জেলায় জেলায় শিবির করা হবে।” এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা, সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, জেলাশাসক রাজীব কুমার, ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প দফতরের অধিকর্তা খলিল আহমেদ প্রমুখ। |
|
|
|
|
|