এক বার অধিগ্রহণ করা জমি ফের অধিগ্রহণ করা যায় কি না, হাইকোর্টে সেই প্রশ্নই তুললেন টাটা মোটরসের আইনজীবী সমরাদিত্য পাল।
সোমবার বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ ও বিচারপতি মৃণালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে টাটাদের আইনজীবী বলেন, সিঙ্গুরের জমি রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকারই ওই জমি টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য অধিগ্রহণ করে। অধিগ্রহণের পর পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমকে জমির মালিকানা দেওয়া হয়। নিগম ওই জমি নিয়ে টাটাদের সঙ্গে ৯০ বছরের জন্য লিজ চুক্তি করে। জমি টাটাদের নয়। টাটারা লিজে পেয়েছেন। রাজ্য সরকার নতুন আইন এনে ফের নিজেদের জমিই ফের অধিগ্রহণ করেছে।
সমরাদিত্যবাবু বিভিন্ন সময়ে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে বলেন, সরকার যে ভাবে নিজেদের অধিগ্রহণ করা জমিই ফের অধিগ্রহণ করল, তা করা যায় না। সরকারের নিজের জমিই সরকার আবার অধিগ্রহণ করবে কী ভাবে? টাটা মোটরসের আইনজীবী দাবি করেন, আইনে এর কোনও সংস্থান নেই। জমি অধিগ্রহণ যে কেন্দ্র-রাজ্য যুগ্ম তালিকাভুক্ত, সমরাদিত্যবাবু এ দিন তারও উল্লেখ করে বলেন, তাই অধিগ্রহণের সময় কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণ আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই রাজ্য সরকারকে নতুন আইন করতে হবে। যে জমি সরকার এক বার অধিগ্রহণ করেছে, তা আবার অধিগ্রহণ করার জন্য আইন প্রণয়নটা কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধী।
সমরাদিত্যবাবু দাবি করেন, জমি অধিগ্রহণ করতে হলে যে সব আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, রাজ্য সরকার তা মানেনি। ফলে বিধানসভায় পাশ করা বর্তমান সরকারে আইনটি অবৈধ। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের রায়ের মধ্যেও অসঙ্গতি রয়েছে বলে এ দিন সওয়াল করেন টাটা মোটরসের আইনজীবী।
আজ, মঙ্গলবারেও এই মামলার শুনানি চলবে। মঙ্গলবারেও টাটাদের আইনজীবী সওয়াল করবেন। |