তৃণমূল-কংগ্রেস পরিচালিত বাগনান ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল দুই দলেরই সদস্যেরা। এই পঞ্চায়েত সমিতিতে সভাপতি এবং সহ সভাপতি পদে আছে কংগ্রেসই। খোদ সহ সভাপতি দলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন। যা থেকে কংগ্রেসের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইঙ্গিতও স্পষ্ট। যদিও দলের উপর মহল বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
বাগনান ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ২১টি আসনের মধ্যে গত পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস এবং সিপিএম পেয়েছিল ৭টি করে আসনয় তৃণমূল জয়ী হয়েছিল ৬টিতে। বাকি ১টিতে জয়ী নির্দল সদস্য। কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট করে বোর্ড গড়ে। সভাপতি হন কংগ্রেসের কাজল গঙ্গোপাধ্যায়। সহ সভাপতি মনোনীত হন কংগ্রেসেরই দীপা খান। সোমবার উলুবেড়িয়া মহকুমাশাসকের কাছে সভাপতির বিরুদ্ধে যে অনাস্থা জমা পড়েছে, তাতে তৃণমূলের ছয় সদস্যের সঙ্গে সহ সভাপতি-সহ কংগ্রেসের তিন জন সই করেছেন।
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মাঝি বলেন, “জোট করে আমরা বোর্ড গড়লেও সভাপতি দীর্ঘ দিন ধরে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছেন। আমাদের দলের সদস্যদের সঙ্গে তো নয়ই, ওঁর নিজের দলের অনেকের সঙ্গেও কোনও রকম আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এ সবের জেরে আখেরে এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। সে জন্যই অনাস্থা আনতে আমরা বাধ্য হয়েছি।” অন্য দিকে, দীপার বক্তব্য, “অগণতান্ত্রিক ভাবে কাজ চালাচ্ছিলেন সভাপতি। ওঁর স্বেচ্ছাচারী আচরণের প্রতিবাদ জানাতেই অনাস্থায় সহমত হয়েছি।”
কংগ্রেসের হাওড়া জেলা সভাপতি কাজি আবদুল রেজ্জাক থাকেন বাগনান ২ পঞ্চায়েত সমিতি এলাকাতেই। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। অন্য দিকে, সভাপতি কাজল গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, “অনাস্থার কাগজপত্র এখনও লিখিত হাতে পাইনি। সকলের সঙ্গে মিলেমিশেই কাজ করার চেষ্টা করেছি। অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটিতে সত্যেরই জয় হবে।”
পঞ্চায়েত আইন মোতাবেক অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি হবে বলে জানিয়েছেন উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক দেবকুমার নন্দন। |