রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে ‘মেগা প্রকল্প’ তৈরি করবে সরকার। সোমবার হাওড়ার পাঁচলার রানিহাটিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন ক্ষুদ্র ও কুটির এবং বস্ত্রশিল্পমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা।
ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতর আয়োজিত তাঁত ও বস্ত্রশিল্প শিবিরে এসেছিলেন মন্ত্রী। সেখানেই বলেন, “ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সঙ্গে বহু মানুষের রুটি-রুজির বিষয়টি জড়িত। কিন্তু অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আইএসআই (ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউট)-কে বলেছি কতগুলি কারখানা বন্ধ আছে, সে বিষয়ে সমীক্ষা করে আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে।” ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ‘মেগা প্রকল্প’ তৈরি হবে বলে জানান মন্ত্রী।
|
নিজস্ব চিত্র। |
জেলায় জেলায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে গতি আনতে হবে বলেও এ দিন মন্তব্য করেন মানসবাবু। তিনি বলেন, “প্রতি জেলায় কুটিরশিল্পের জন্য এবং বস্ত্রশিল্পের জন্য আলাদা আলাদা উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটিতে এলাকার বিধায়ক এবং শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিরা থাকবেন। দু’টি কমিটিই পনেরো দিন ছাড়া বৈঠকে বসবে। জেলাশাসক কমিটি দু’টির মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করবেন।”
জরির কাজের জন্য পাঁচলার খ্যাতি দেশজোড়া। স্থানীয় বিধায়ক গুলশন মল্লিক মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান, জরিশিল্পীদের যেন ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া, পাঁচলায় একটি ‘জরি হাব’ তৈরিরও প্রস্তাব করেন তিনি। বিষয়টি সমীক্ষা করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। শিল্পীরা যেন সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পান, সে ব্যাপারে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি। এ দিনের অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী, দফতরের সচিব অনুপ চন্দ, হাওড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মীনা ঘোষ মুখোপাধ্যায়, জেলাশাসক সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। |