বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে গিয়ে গত কাল বিকেলে মণিডিহ-র ভাতিন্দা জলপ্রপাতের স্রোতে তলিয়ে যান ইন্ডিয়ান স্কুল অব মাইনস (আইএসএম)-এর দুই ছাত্র। আজ সকালে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের নাম গৌতম নন্দয়াল (১৯) ও শঙ্কর বাবু অশোক (১৯)। দু’জনেই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁরা অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা। দু’জনেই আইএসএমের ছাত্রাবাসে থাকতেন। একই সঙ্গে দুই সহপাঠির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পিছনে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ জানায়, আইএসএমের জনা দশেক ছাত্র গত কাল ভাতিন্দা জলপ্রপাতের কাছে পিকনিক করতে যান। খাওয়া দাওয়া সেরে বিকেলের দিকে জলপ্রপাতের পাশে, পাথরের উপরে বসে গল্প করছিলেন কয়েক জন। আচমকাই জলস্রোতে পা-হড়কে পড়ে যান অশোক। কালবিলম্ব না-করে বন্ধুকে বাঁচাতে গৌতম জলে ঝাঁপ দেন। |
ধানবাদের কাছে ভাতিন্দা জলপ্রপাতে চলছে দুই ছাত্রের খোঁজ। সোমবার চন্দন পালের তোলা ছবি। |
তীব্র স্রোতে মুহূর্তে তলিয়ে যান দু’জনেই। এই খবর চাউর হতেই আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। আসেন ওই ছাত্রাবাস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও পদস্থ আধিকারিকরাও। হাজির হয় পুলিশ। স্থানীয় ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। তবে সূর্য ডুবতে, অন্ধকারে তল্লাশির কাজ আর এগোয়নি। আজ সকালে ফের তল্লাশি শুরু হয়। মণিডিহর কাছেই দল থেকে উদ্ধার হয় ওই দুই ছাত্রের নিথর দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত অশোকের বাড়ি বিজয়ওয়াড়ায়। গৌতমের বাড়ি হায়দরাবাদে। দু’জনের বাড়িতেই খবর পাঠানো হয়েছে। আইএসএমের মতো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস থেকে এই ভাবে এক সঙ্গে দল বেঁধে ছাত্রদের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। |