ঠিক এক সপ্তাহ পরে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশন যাতে মসৃণ ভাবে চলে, তার জন্য আজ দুই সভার বিরোধী দলনেতাকে চা-বৈঠকে আমন্ত্রণ করে সহযোগিতা চাইলেন লোকসভার নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়। যদিও এই নিয়ে লোকসভার নেত্রী সুষমা স্বরাজ কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি। আজ সন্ধ্যায় প্রণববাবুর নর্থ ব্লকের দফতরে যান সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলি। প্রায় আধ ঘণ্টা তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সুষমা জানান, “সংসদের অধিবেশনের আগে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে লোকসভার নেতা আমাদের চায়ের নিমন্ত্রণ করেছিলেন। আলোচনাও ভাল হয়েছে।” বিজেপি কি সংসদ মসৃণ ভাবে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে সুষমা হাসতে হাসতে বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।”
বিজেপি সূত্রের মতে, গত এক মাস ধরে লালকৃষ্ণ আডবাণী দেশজুড়ে রথযাত্রা করছেন। দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি ও কালো টাকা উদ্ধার এই তিনটি বিষয়ে তিনি জনসমর্থন হাসিল করার চেষ্টা করছেন। কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে। আগামী সপ্তাহে সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার ঠিক আগে তাঁর রথ দিল্লিতে এসে পৌঁছচ্ছে। ফলে এই বিষয়গুলি নিয়ে বিজেপি সংসদে সরব হবেই। এর আগে দুর্নীতি ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে একাধিক বার আলোচনা হলেও কালো টাকা নিয়ে কখনও বিতর্ক হয়নি। এ বার এই বিষয়টিও উঠবে। সরকারের কাছে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও তুলবে বিজেপি। বিজেপির এই মনোভাবের কথা আঁচ করেই লোকসভার নেতা আজ দুই বিরোধী দলনেতাকে বৈঠকে ডেকেছিলেন।
কংগ্রেস সূত্রের মতে, বিজেপি যতই সরব হোক, সরকারকেও অনেক বিল পাশ করাতে হবে। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে সেটি বড় চ্যালেঞ্জ। তার উপর অণ্ণা হজারে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছেন। ফলে সংসদের আসন্ন অধিবেশনে লোকপাল বিলটিও পাশ করাতে উদ্যোগী হবে সরকার। বিল পাশ করানো ছাড়াও পণ্য-পরিষেবা কর নিয়ে বিজেপির সহযোগিতা প্রয়োজন। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, “বিজেপি সংসদ অচল করে রাখায় বিল পাশ না হলে শাসক দলেরই সুবিধা। সে ক্ষেত্রে বিজেপিকেই দায়ী করতে পারবে কংগ্রেস।” |