ফুলপুরের জনসভায় রাহুল গাঁধীকে কালো পতাকা দেখাতে গিয়ে কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের হাতেই বেধড়ক মার খেলেন সমাজবাদী পার্টির দুই কর্মী। মাটিতে ফেলে তাদের পেটালেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ, পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী আর পি এন সিংহ, রাজ্য কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি।
এ দিন ঘটনাটি ঘটে বেলা পৌনে দুটো নাগাদ। লাল হেলিকপ্টারে চেপে ফুলপুরের হেলিপ্যাডে নামেন রাহুল গাঁধী। জনসভা যেখানে হয়েছে, তার ঠিক পাশেই। তাঁকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ, পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী আর পি এন সিংহ, রাজ্য কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি প্রমুখ। কিন্তু রাহুল হেলিকপ্টার থেকে নামতেই ভিড় থেকে দুই যুবক হাতে কালো পতাকা নিয়ে বেরিয়ে আসে। দৌড়ে তাঁরা সরাসরি হেলিকপ্টারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। রাহুলকে কালো পতাকা দেখাতে শুরু করে। পিছনে পিছনে দৌড়ে এসে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। ধরে লাঠিপেটাও করে। কিন্তু অনেক বেশি আগ্রাসী হয়ে ওই দুই যুবককে মারধর করেন জিতিন, আর পি এন সিংহ এবং প্রমোদ তিওয়ারি। পরে ওই দুই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। |
পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস নেতারাও পেটাচ্ছেন সমাজবাদী পার্টির কর্মীদের। ফুলপুরে সোমবার। ছবি: পি টি আই |
টিভিতে এই দৃশ্য দেখে সারা দেশ। সমালোচনা শুরু হয়। এর আগেও দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে জনার্দন দ্বিবেদীকে এক জন জুতো দেখানোর পরে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ তাঁকে মেরেছিলেন বলে অভিযোগ। তা উল্লেখ করে বিজেপির শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, পুলিশ থাকা সত্ত্বেও নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে। তবে জিতিন প্রসাদ বা প্রমোদ তিওয়ারি এই ঘটনায় বিন্দুমাত্র লজ্জিত নন। জিতিন প্রসাদ বলেন, “হেলিপ্যাডে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা পুলিশের। কিন্তু মায়া-শাসনে তারা কতটা অকর্মণ্য হয়ে পড়েছে, এই ঘটনাতেই প্রমাণিত। বোঝা যাচ্ছে রাহুলের প্রচারে ভয় পেতে শুরু করেছেন মায়া-মুলায়ম।” আর প্রমোদের কথায়, “ওই ছেলেদের আটকে ঠিকই করেছি। বোঝাই যাচ্ছে, মায়াবতীর সরকার পরিকল্পিত ভাবে রাহুলের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙাচ্ছে।” এর আগেও সকালে ফুলপুরে রাহুলের কুশপুতুল পোড়াতে গিয়ে গ্রেফতার হয় সমাজবাদী পার্টির ১২ সমর্থক। |