স্কুল আর থানার মধ্যে ব্যবধান মাত্র কয়েক হাত। তা সত্ত্বেও নিরাপত্তার অভাবের কারণ জানিয়ে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন আপাতত বন্ধ করে দিলেন কাটোয়া বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কবিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়ার পরে কাটোয়া থানার তরফে জানানো হয়, পুলিশ দিতে পারবে না তারা। সে কারণে পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত মতো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” ২০ নভেম্বর ওই স্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধি ভোট হওয়ার কথা ছিল। এখন পরিচালন সমিতিতে ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম। এ বারই প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কংগ্রেস মনোনয়ন পেশ করেছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটে হেরে যাবে বুঝতে পেরে সিপিএমের দখলে থাকা পরিচালন সমিতি-সহ স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্বাচন বন্ধ রাখার মতো এমন অগণতান্ত্রিক কাজ করল। সিপিএমের তরফে অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কাটোয়া থানার ওসি রাজর্ষি দত্ত জানান, ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ ৫ নভেম্বর চিঠি দিয়ে নির্বাচনের জন্য পুলিশ চেয়েছিল। ১১ নভেম্বর চিঠি দিয়ে পুলিশ না দিতে পারার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “২০ নভেম্বর অন্য একটি স্কুলে নির্বাচন রয়েছে। তারা দু’মাস আগে চিঠি দিয়েছিল। সে কারণেই কাটোয়া বালিকা বিদ্যালয়কে পুলিশ দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে।” প্রধান শিক্ষিকা অবস্য জানান, তাঁরা পুলিশের চিঠি পেয়েছেন ১২ নভেম্বর, মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া হয়ে যাওয়ার পরে। |