ধসে ফাটল ধরেছে একাধিক বাড়িতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার। কিন্তু চার দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারি স্তরে কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ কুলটির সাঁকতোড়িয়ার ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের। অবশেষে ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে আশ্বাস দিয়েছেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন (এডিডিএ) কর্তৃপক্ষ। সরকার নির্দেশিত পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের সাহায্যও করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আজ, মঙ্গলবার এই বিষয়ে বৈঠক করবেন এডিডিএ কর্তৃপক্ষ। সংস্থার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির নামের তালিকা তৈরি করছি। তাঁদের আমরা পুনর্বাসন দেব।”
তাপসবাবু জানান, কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য যে পুনর্বাসন প্রকল্প তৈরি করেছে তার নির্দেশ মেনেই বাসিন্দারা পুনর্বাসন পাবেন। তিনি আরও জানান, এখনই ধস কবলিত বাসিন্দাদের তৈরি করা বাড়ি দেওয়া যাবে না। কারণ এডিডিএ জমি কিনলেও বাড়ি তৈরি করতে পারেনি। তাই তাঁদের সমমূল্যের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান জানান, পুনর্বাসনের টাকা দেওয়ার পরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পুরনো জায়গায় ফিরে আসতে দেওয়া হবে না। ধস কবলিত এলাকার ফাটল ধরা বাড়িগুলি পুরোপুরি ঘিরে দেওয়া হবে। ইসিএলকে দিয়ে ধস ও ফাটলের অংশে বালি ভরাট করানো হবে। |
এডিডিএ সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৯৯৭ সালে ডিরেক্টর জেনারেল মাইনস সেফটি (ডিজিএমএস) রানিগঞ্জ, আসানসোল খনি এলাকার ১৩৯টি জায়গাকে ধসপ্রবণ বলে চিহ্নিত করে। বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য ২০০৯ সালের জুন মাসে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক ২৬২৯ কোটি টাকা অনুমোদন করে। কয়লা মন্ত্রক একটি পুনর্বাসন প্রকল্পও বানিয়ে দেয়। এটি কার্যকরী করার দায়িত্ব বর্তায় এডিডিএ-র উপর। সংস্থার চেয়ারম্যান তাপসবাবু জানান, ধস কবলিত এলাকায় বাসিন্দাদের জমি জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। সাঁকতোড়িয়া এলাকাতেও একটি বেসরকারি সংস্থা জমি জরিপ করতে গিয়েছে। তিনি বলেন, “জমি জরিপের কাজে ওই এলাকার বাসিন্দারা আমাদের সহযোগিতা করেননি। কিন্তু আজ প্রমাণ হয়েছে, এলাকাটি যথেষ্ট বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।” তিনি জানান, যাঁরা পুনর্বাসন নেবেন এডিডিএ-র তরফে তাঁদের টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু বাসিন্দারা পুনর্বাসন না নিলে এডিডিএ তাঁদের জোর করে দেবে না। সেক্ষেত্রে সব দায়িত্ব বর্তাবে বাসিন্দাদের উপর। |