|
|
|
|
চিকিৎসক ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে সহবাসের ঘটনায় অভিযুক্ত মালদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক অশোকপ্রসাদ গুপ্তকে শুক্রবার গ্রেফতার করল ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। আজ, শনিবার ধৃত চিকিৎসককে আদালতে হাজির করাবে পুলিশ। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, “সদর হাসপাতালের চিকিৎসক অশোকপ্রসাদ গুপ্তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ জানিয়ে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা। পাশাপাশি, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে অভিযোগটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ আসার পরেই তদন্তে নেমে জানা যায় অভিযোগ সঠিক। এর পরেই ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়।” অভিযুক্ত চিকিৎসক দাবি করেছেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছে তা ভিত্তিহীন। ওই মহিলা ব্ল্যাকমেল করে মোটা টাকা তুলতে চাইছেন। আমাকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র চলছে।” ২৩ সেপ্টেম্বর ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। পর ওই দিনই পুলিশ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করে আদালতে পাঠিয়ে দিলেও তাঁকে গ্রেফতার করেনি। মামলা রুজু করার পরেও পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার না-হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মহিলা কমিশন ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের দ্বারস্থ হন মালদহের বিনয় সরকার রোডের বাসিন্দা ওই মহিলা। জেলার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে ইংরেজবাজার থানার পুলিশকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগকারী মহিলা বলেন, “আমি চিকিৎসক অশোকপ্রসাদ গুপ্তার সাহায্যকারী হিসাবে কাজ করতাম। দু’বছর ধরে আমি ও ওই চিকিৎসক স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করেছি। ওই চিকিৎসক বিবাহিত জেনে আমায় বিয়ে করার জন্য বললে তিনি আমায় বাড়ি থেকে বের করে দেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেও পুলিশ ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করতে টালবাহানা করায় মুখ্যমন্ত্রী, মহিলা কমিশন, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে চিঠি পাঠাই। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই কাজ হয়েছে।” সহকর্মীর নামে পুলিশ ধর্ষণের মামলা দায়ের করায় ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস। অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক মলয় সরকার বলেন, “সঠিক তদন্ত না করেই পুলিশ ধর্ষণের মামলা দায়ের এবং গ্রেফতার করে ঠিক কাজ করেনি। পুলিশ তদন্ত করুক। চিকিৎসক অন্যায় করে থাকলে সংগঠন তাঁর পাশে দাঁড়াবে না।” |
|
|
|
|
|