এক বছর ধরে শিশুদের জন্য পৃথক ভবন তৈরি। কিন্তু এখনও তা চালু হয়নি।
এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেই জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালেরও। এমনই অভিযোগ সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “হাসপাতালে মহিলাদের ওয়ার্ডে দু’টি ঘর নিয়ে শিশুদের জন্য ওয়ার্ড খুলে রাখা হয়েছে। অথচ শিশুরা শীতের সময়েও পড়ে থাকছে মাটিতে। এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে শিশুদের।” হাসপাতালের সুপার শাশ্বত মণ্ডল বলেন, “কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ওই শিশুভবনটি স্বাস্থ্য দফতরকে হস্তান্তর করা হয়নি। তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভবনের দায়িত্ব পাওয়ার পর ওই পৃথক শিশু ওয়ার্ডের জন্য বাড়তি চিকিৎসক, কর্মী ও যন্ত্রপাতি চাওয়া হবে। যতক্ষণ তা পাওয়া না যাচ্ছে, ততক্ষণ ওই পৃথক শিশুভবন চালু করা সম্ভব নয়।” সুপার বলেন, “বর্তমানে মহিলাদের ওয়ার্ডে শিশুদের বিভাগ হিসেবে কাজ চলছে। শিশুদের জন্য সেখানে ৩৫টি শয্যা থাকলেও বাস্তবে সেখানে প্রায় ৬০ জন করে শিশু ভর্তি থাকছে।ফলে সবাইকে শয্যায় রাখা যাচ্ছে না।”
বৃহস্পতিবারও জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের। পুলিশ এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিন দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন সুতির কংগ্রেস বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস। তাঁর কাছে রোগীরা অভিযোগ করেন চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ার। ওই বিধায়ক তখনই ডেকে আনে হালপাতালের সুপার ও কয়েক জন স্বাস্থ্যকর্তাকে। লোকমান শেখ নামে এক রোগী অভিযোগ করেন, বুধবার সন্ধ্যায় ভর্তি হলেও তাঁর কোনও চিকিৎসাই শুরু হয়নি। হাসপাতালে ভর্তি অন্যান্য রোগীদের কাছেও এই ভাবে চিকিৎসা সংক্রান্ত খোঁজখবর নেওয়া হয়। এ দিন বেলা পৌনে বারোটাতে হাসপাতালের বহির্বিভাগের দৃশ্য ছিল আরও খারাপ। বিধায়ক ইমানি বলেন, “মহিলা ও শিশু চিকিৎসার বহির্বিভাগে লাইনে দাঁড়িয়ে শতাধিক রোগী। অথচ কোনও চিকিৎসক নেই।” সুপারের সাফাই, “৫৬ জন চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ৩৫ জন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর সংখ্যা অর্ধেকেরও কম। তাই বহির্বিভাগের চিকিৎসকদের মাঝপথেই যেতে হয় রাউন্ডে অথবা ও টি-তে। ফলে সমস্যা হচ্ছে।” |