শ্বশুরকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন জামাই। ভিড় ছিল চেম্বারে। আগে দেখতে হবে তাঁর শ্বশুরকে, এমন দাবি তোলেন জামাই। তা নিয়ে গোলমাল। হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে শান্তি ভড় নামে বর্ধমানের মাধবডিহির একলক্ষ্মী গ্রামের ওই ব্যক্তিকে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে আরামবাগের লিঙ্ক রোডে। মনোজিৎ মুখোপাধ্যায় নামে ওই চিকিৎসক বলেন, “রাত তখন প্রায় পৌনে ১০টা। আমি এক রোগিণীকে দেখছিলাম। ইতিমধ্যে এক রোগী ঢুকে পড়েন। বলেন, তাঁর মুখ থেকে রক্ত পড়ছে। এখনই দেখতে হবে। রক্ত দিতে হতে পারে বলে জানিয়ে আমি তাঁকে হাসপাতালে যেতে বলি। কিন্তু উনি অসভ্যতা শুরু করেন। ইতিমধ্যে রোগীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি চেম্বারে ঢুকে পড়ে গুণ্ডামি করতে থাকেন। অন্য রোগীর আত্মীয়েরা এক জনকে ধরে পুলিশে দেন।” শান্তিবাবুর শ্বশুর দেবপ্রসাদ কোলে থাকেন খানাকুলের রাউতখানা গ্রামে। তাঁকে ওই রাতেই ভর্তি করা হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। তাঁর জামাই শান্তিবাবুর বক্তব্য, “চেম্বারে খুব ভিড় ছিল। কিন্তু শ্বশুরমশাইয়ের মুখ থেকে রক্ত পড়া থামছিল না। বসে থাকতে পারছিলেন না উনি। সে জন্যই ভিতরে ঢুকে পড়েন। আমি অনুরোধ করতে গেলে হামলা করেছি অভিযোগ তুলে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখান চিকিৎসক।” বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
হাসপাতালে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে শুক্রবার দুপুরে করিমপুর হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাল করিমপুর-১ ব্লক তৃণমূল। বিক্ষোভ শেষে সুপার বিধুভূষণ মাহাতোর হাতে স্মারকলিপিও দেয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা। করিমপুর-১ তৃণমূল সভাপতি চিররঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘‘এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। অথচ পরিষেবা নিয়ে হাসপাতালের বিরুদ্ধে মানুষের বিস্তর অভিযোগ আছে। এ ব্যাপারে সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাসও তিনি আমাদের দিয়েছেন।’’ এ দিন হাসপাতালে প্রায় শ’দুয়েক তৃণমূল নেতা, কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
|
জনসভা করে উত্তর দিনাজপুরে এইম্সের পক্ষে সওয়াল করলেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। শুক্রবার গোয়ালপোখরে ও চাকুলিয়ায় কংগ্রেসের দুটি জনসভা হয়। কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় ও গোয়ালপোখরের বিধায়ক গুলাম রব্বানি উপস্থিত ছিলেন। দীপা দেবী বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের স্বার্থে এইম্সের ধাঁচে হাসপাতাল চাই।” দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “রায়গঞ্জে এইম্সের ধাঁচে হাসপাতাল না হলে সমগ্র উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত হবেন। ছয় জেলার মানুষের স্বার্থে সরকার জমি অধিগ্রহণ করুক। আর মানুষ তো স্বেচ্ছায় জমি দিতে চাইছেন। এতে কোনও সমস্যার ব্যপার নেই।”
|
পর্দায় যথেচ্ছ ধূমপানের দৃশ্য আটকাতে এ বার আরও সক্রিয় হচ্ছে কেন্দ্র। সিনেমা বা টেলিভিশনের কোনও অনুষ্ঠানে ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার দেখানো নিয়ে নতুন বিধি আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ১৪ নভেম্বর থেকে ওই বিধি জারি হবে বলে আজ জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তা। ওই বিধি কার্যকর করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক জন প্রতিনিধি এ বার থেকে সেন্সর বোর্ডে থাকবেন। নতুন বিধি অনুযায়ী, প্রতিটি সিনেমা বা অনুষ্ঠানের পরিচালককে সেন্সর বোর্ডকে নির্দিষ্ট করে জানাতে হবে যে কেন তিনি সেই দৃশ্যটি দেখাতে চান। যে অভিনেতা বা অভিনেত্রী সেই দৃশ্যে অভিনয় করছেন, সিনেমা বা অনুষ্ঠানটি শুরুর আগে তাঁকেও তামাকের কুপ্রভাব নিয়ে দর্শকদের বোঝাতে হবে। এবং সেটি দেখাতে হবে অন্তত কুড়ি সেকেন্ড। সিনেমা বা অনুষ্ঠান শুরুর প্রথমে এখনও তামাকের কুপ্রভাব সম্পর্কে একটি বিধিসম্মত সতর্কীকরণ দেখানো হয়। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সিনেমা বা অনুষ্ঠানের মাঝখানেও ওই সতর্কীকরণ দেখাতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই কর্তার কথায়, “হু-র সমীক্ষা বলছে, ভারতীয় ছবিতে ধূমপানের দৃশ্য যুব সম্প্রদায়ের উপর ভীষণ ভাবে প্রভাব ফেলে।” দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তামাকের কুপ্রভাব থেকে বাঁচানোই কেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।
|
ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঘাটাল থানার ব্যাঙডাল সংলগ্ন কাজিরহাটে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হল। উদ্যোক্তাদের পক্ষে শেখ রবিয়াল এবং শেখ আদাদ আলি জানান, শিবিরে স্থানীয় ৪-৫টি গ্রামের শ’দেড়েক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। |