জেলা পরিষদ নিয়োজিত রাজ্যের ৯৭৮ জন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এবং প্রায় ৬০০ জন কম্পাউন্ডার মাসিক ভাতা পাচ্ছেন না গত জুলাই মাস থেকে। এই অভিযোগ, ওয়েস্টবেঙ্গল পঞ্চায়েত হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল অফিসার অ্যান্ড কম্পাউন্ডার কাম সিসিডি সংগঠনের। ওই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা বীরভূমের দেউচা পঞ্চায়েতের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক কনককান্তি মণ্ডলের দাবি, “আজ শনিবার মুখ্যমন্ত্রী জেলায় আসছেন। তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হবে।”
ওই সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের যে সব পঞ্চায়েত এলাকার কাছাকাছি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসা পরিষেবা নেই সেই সব পঞ্চায়েত এলাকায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে জেলা পরিষদ। ১৯৭৮ সাল থেকে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলিতে ন্যূনতম ভাতার ভিত্তিতে চিকিৎসক ও কম্পাউন্ডার নিয়োগ শুরু হয়েছিল। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত নিয়োগ হয় ৯৭৮ জন চিকিৎসক এবং প্রায় ৬০০ জন কম্পাউন্ডার। তাঁদের মাসিক ভাতা ক্রমে বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১১ হাজার ও সাড়ে ৫ হাজার। ওই পরিমান ভাতা বাড়ে গত এপ্রিল মাস থেকে। কনককান্তিবাবুর অভিযোগ, “মাত্র দু’মাস ওই বর্ধিত ভাতা পাওয়ার পরে আর কোনও ভাতা পাওয়া যায়নি। ওই ভাতা দিত রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর জেলা পরিষদকে। জেলা পরিষদ সেই ভাতা পাঠিয়ে দিত সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলিতে।” বীরভূমে চিকিৎসক আছেন ৫৭ জন। ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের বড়তুড়ি গ্রামে কর্মরত চিকিৎসক অসিত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “সপ্তাহে ৫ দিন রোগী দেখি। প্রয়োজনে ওষুধও পান রোগীরা। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত ওষুধ কিনে দিত পঞ্চায়েত। কিন্তু ভাতা বৃদ্ধি করার পরেই ওই সব চিকিৎসক ও কম্পাউন্ডারদের ভাতা সরাসরি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর মঞ্জুর না করে দায়িত্ব দেওয়া হয় পঞ্চায়েতকে। ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়।”
রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের দাবি, “ওই সব চিকিৎসক ও কম্পাউন্ডারের ব্যাপারে জেলা পরিষদগুলি কোনও তথ্য দিতে পারেনি। ফলে আইনি জটিলতায় ওদের ভাতা দেওয়া বন্ধ হয়েছে।” চিকিসক অসিতবাবুরা বলেন, “সংসার চালাতে আমাদের প্রানান্তকর অবস্থা।” অন্য দিকে, বীরভূমের জেলা সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কাছ থেকে পঞ্চায়েত মন্ত্রী কোনও তথ্য নেননি। এই জেলায় ৫৭ জন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক আছেন বিভিন্ন পঞ্চায়েতে। আরও ২৫ জন চিকিৎসক চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাওয়া যায়নি।” |