সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ |
ফের এক সিপিএম কর্মীকে মারধর করার ঘটনা ঘটল ইন্দাসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইন্দাস থানার বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা সিপিএম কর্মী রঞ্জন মাঝিকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম ওই সিপিএম কর্মীকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশের কাছে স্থানীয় তৃণমূলের ৯ জন কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই সিপিএম কর্মী। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাজিতপুরের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী শিশির মল্লিক ও সুজিত মল্লিক নামে দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির আহ্বায়ক অসীম দাসের অভিযোগ, “গ্রামে থাকার জন্য আমাদের দলের কর্মী রঞ্জন মাঝির কাছে জরিমানা বাবদ হাজার দশেক টাকা চেয়েছিল তৃণমূলের কয়েক জন। রঞ্জন সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। সেই আক্রোশে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে গ্রামের মধ্যেই লোহার রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তিনি জানান, উদ্ধারের পরে রঞ্জনকে প্রথমে ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে বর্ধমানে পাঠানো হয়। তৃণমূলের ইন্দাস ব্লকের সাধারণ সম্পাদক গৌতম বেরার দাবি, “ওই ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়। আমাদের দলের কেউ জরিমানা চায় নি।” তাঁর অভিযোগ, “সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ করায় আমাদের দলের দু’জন নিরীহ কর্মী গ্রেফতার হয়েছে।” অন্য দিকে, ইন্দাস কলেজে অপ্রকৃস্থ অবস্থায় ঢুকে অশালীন আচরণ করার অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে আটক করে। এ দিন সন্ধ্যায় ইন্দাস কলেজের টিচার ইন-চার্জ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই যুবক সিপিএমের স্থানীয় এক নেতার ছেলে। যদিও তিনি ‘তৃণমূলের চক্রান্ত’ বলে অভিযোগ তুলেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন দুপুরে কলেজের ফটকের সামনে থেকে ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে ওই যুবক কটূক্তি করে। কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক টিএমসিপি’র শেখ হামিদ তাকে বাধা দিলে গোলমাল বাধে। স্থানীয়রা যুবকটিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
|
ছাত্রীকে উদ্ধারের দাবিতে অনশন |
অপহৃত তরুণীকে উদ্ধারের দাবিতে মহকুমা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে প্রতীকী অনশন করল মেয়েটির বাবা, মা ও পরিবারের লোকজন। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনশন করেন রামপুরহাট থানার আখিড়া গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দা। অনশনের পরে ওই কিশোরীর পরিবারের তরফ থেকে তাকে উদ্ধার-সহ অপহরণকারীদের গ্রেফতারের জন্য মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রামপুরহাট মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব বলেন, “পুরো ঘটনাটি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হবে। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলা হবে।” আখিড়া গ্রামের বাসিন্দা নীলকণ্ঠ ঘোষাল জানান, তাঁর মেয়ে সুনীতা রামপুরহাট কলেজের বি এ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। ২৩ অগস্ট দুপুর থেকে তিনি তাঁর মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁর অভিযোগ, “একই ক্লাসের ছাত্রী ওই গ্রামের বাসিন্দা সঞ্চিতা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি আমার মেয়েকে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার বাগড় গ্রামে অপরহণ করে রাখা হয়েছে। সঞ্চিত-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশের হাতে সঞ্চিতাকে তুলে দেওয়া হলেও তাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। তাই মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছি।”
|
বলরামপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে দুঘর্টনায় জখম হলেন মোটরবাইক আরোহী দুই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, আহতেরা হলেন উমাশঙ্কর বেলথরিয়া ও রবিচন্দ্র মাণ্ডি। তাঁরা কাশীপুর থানার রঞ্জনডি গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুরে হুড়া থানার পালসা গ্রামের কাছে, হুড়া-কাশীপুর রাস্তার উপরে দুঘর্টনাটি ঘটে। একটি লরির সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা গুরুতর জখম হন। রবিচন্দ্রকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ও উমাশঙ্করকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়। |