|
|
|
|
সৃজন উৎসবে মেতেছে খড়িদুয়ারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোরো |
শুরু হয়েছে সৃজন উৎসব। খড়িদুয়ারার টিলা থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মিছিলে পা মেলালেন শিল্পী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার থেকে পুরুলিয়ার বোরো থানার খড়িদুয়ারা টিলাতে শুরু হয়েছে এই সৃজন মেলা। চলবে শনিবার রাত পর্যন্ত।
নগর ও গ্রামীণ সংস্কৃতির মেল বন্ধনের এই উৎসব। ফি বছর রাসপূর্ণিমার সময় শুরু হয় এই মেলা। বান্দোয়ান-মানবাজার রাস্তার ধারে খড়িদুয়ারার টিলা এখন সৃজনডুংরি নামেই খ্যাত। এ বার সপ্তদশ বর্ষের মেলায়।
উৎসব কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা তো বটেই, ভিন রাজ্যের একাধিক সাংস্কৃতিক দলও এখানে এসেছেন। কয়েকটি টিলার চূড়ায় তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। নামকরণ করা হয়েছে, মহেন্দ্র শিল্পপীঠ, চিত্রকূট শিল্পপীঠ ও কিষ্কিন্ধ্যা শিল্পপীঠ। লীলা কীর্তন, বাউল, ঝুমুর, নাচনিদের নাচের সঙ্গে থাকছে বিভিন্ন রাজ্যের লোক নৃত্য। সাঁওতালি নাটক ও কলকাতার নাট্য সংস্থার নাটকও মঞ্চস্থ হচ্ছে। এই উৎসবের আয়োজক সৈকত রক্ষিত বলেন, “অবলুপ্তির হাত থেকে দেশজ সংস্কৃতিকে রক্ষা করতেই এই উৎসব। মানভূম সংস্কৃতির বিশেষ কয়েকটি ধারা চর্চা ও উদ্যোগের অভাবে লুপ্ত হতে বসেছে। শিল্প ও শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি ভিন রাজ্যের লোক সংস্কৃতির সাথে পরিচয় ঘটানোও অন্যতম লক্ষ্য।
টিলার উপরেই তাঁবু খাটিয়ে শিল্পী ও উদ্যোক্তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস্তার এক পাশে ন্যাড়া পাহাড়। অন্য পাশে পাহাড়জুড়ে জঙ্গল। টিলার মাথা থেকে দেখা যায় মুকুটমনিপুর জলাধারের বিশাল জলরাশি। নাচনি পদ্মাদেবী ও সন্ধ্যাদেবী বলেন, “এ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। ভিন রাজ্য থেকে যে সব লোক সংস্কৃতির কর্মী ও শিল্পীরা এসেছেন তাঁদের সাথে পরিচয় হওয়ার সুযোগ আমাদের কাছে বড় পাওনা। আমাদের দেশজ শিল্প সম্পর্কে তাঁদেরও আগ্রহ রয়েছে।” লাগোয়া কুমারী গ্রামের বাসিন্দা সুনীল রুইদাস, পদ্মা মাহাতোরা বলেন, “সৃজন উৎসব উপলক্ষে আমাদের বাড়িতে আত্মীয় স্বজনেরা এসেছেন। আশপাশের অন্যান্য গ্রামগুলির ঘরে ঘরেও আত্মীয়েরা এসেছেন।” টিলার মাথা থেকে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের গ্রামগুলিতে। |
|
|
|
|
|