ভাল কাজে পুরস্কার সরকারি কর্মীদের
যে সব সরকারি কর্মী ও আধিকারিকেরা দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন, রাজ্য সরকার তাঁদের পুরস্কৃত করবে। শুক্রবার পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বার্তা পেলেন কারা? পুরুলিয়া শহরের সার্কিট হাউসে উপস্থিত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে সব দফতরের অফিসারেরা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, “কাজের গতি বাড়াতে হবে। মন দিয়ে কাজ করুন। এই প্রত্যন্ত ও পিছিয়ে পড়া জেলায় যাঁরা কাজ করবেন, তাঁরা প্রাপ্য পুরস্কার পাবেন।” যে জেলার ৮টি ব্লকই মাওবাদী প্রভাবিত, সেখানে ‘বিপদসঙ্কুল’ পরিস্থিতিতে কর্মরত প্রশাসনিক অফিসারদের মনোবল বাড়াতেই মমতার এই ঘোষণা বলে মনে করছেন প্রশাসনের অনেকে। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, “যাঁরা এখানে কাজ করছেন, ভাববেন না দূরে আছেন। পুরুলিয়া অত্যন্ত সম্ভাবনাময় জেলা। আমাদের ‘টপ প্রায়োরিটি’। ভাল কাজ করুন। পুরস্কার পাবেন।”
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে জঙ্গমহলের এই তৃতীয় দফার (এর আগে দু’বার পশ্চিম মেদিনীপুরে গিয়েছেন) সফরে মমতার বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্টতৃণমূল স্তর পর্যন্ত উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে হবে প্রশাসনকে। আর সে জন্য প্রশাসনের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত বাড়াতে হবে পারস্পরিক সমন্বয়।
পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়ায় যাওয়ার পথে নিতুড়িয়ায় শিশুদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: অশোক মজুমদার।
পুরুলিয়ার মতোই বাঁকুড়ার বৈঠকেও প্রশাসনিক অফিসার বিশেষ করে বিডিও-দের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটাকে ‘প্রাইজ পোস্টিং’ হিসাবে মনে করুন। ‘পানিশমেন্ট’ হিসেবে দেখবেন না। পিছিয়ে পড়া এলাকায় যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের সঙ্গে সরকার রয়েছে।”
এ দিন দুপুরে পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের আট জন এবং তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষ এবং ১৮টি দফতরের সচিব। বৈঠকে মমতা নিজেও বলেন, “বলতে পারেন, এখানেই উঠে এসেছে মিনি মহাকরণ।” উন্নয়নে গতি আনতে বিভিন্ন দফতরের ও আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয়ের উপরেই বেশি গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। গোড়াতেই বলেন, “আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ান।” সমন্বয়ের এই প্রক্রিয়া প্রশাসনের একেবারে নিচু স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। সঙ্গে নির্দেশ, “প্রতি সপ্তাহে সমন্বয়-বৈঠক করতে হবে। অন্যথা চলবে না।” পাশাপাশি, পুলিশ-প্রশাসনের সমন্বয় বাড়ানোতেও তিনি জোর দেন।
বাঁকুড়াতে মমতা বলেন, “বিভিন্ন দফতরের মধ্যে যে ছোটখাটো সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নিজেদের মধ্যে সমাধান করে নিন। কর্মীর অভাব বা ফাইল আটকে রাখার মতো সমস্যার কথা আমার জানা আছে। কিন্তু সদিচ্ছা থাকলে এ সবের জন্য কাজ আটকায় না। সমস্যায় পড়লে দফতরের সচিবদের সরাসরি বলুন।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথাবার্তা যে আধিকারিকদের ছুঁয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট বাঁকুড়ার এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়। তিনি বললেন, “১৯ বছরের কর্মজীবনে এত আন্তরিক ভাবে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখিনি।” পুরুলিয়ার এক বিডিও-র মন্তব্য, “আমাদেরও উনি যে ভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন, ভাবা যায় না। এখন অনেক খোলা মনে কাজ করতে পারব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.