ক্রিকেটের মরশুমেও ফুটবলেই মেতেছে ডোমকল। আর তার একটা বড় কারন, নিছক খেলার মজাটুকু বাদ দিয়ে এলাকায় শান্তি-প্রয়াস। নিরবিচ্ছিন্ন অশান্তির ডোমকলে ফুটবলই এলাকার মানুষের মধ্যে সদ্ভাব গড়ে দেবে এমনই আশা তাঁদের। বিকেল পড়তে না পড়তেই প্রতি দিন মাঠে ভিড় করছেন হাজার হাজার গ্রামবাসী। আর সেই উপচে পড়া ভিড় দেখেই উৎসাহ পাচ্ছেন স্থানীয় ফুটবল উদ্যোক্তারা। মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত এই সমর্থনেই বিভিন্ন মাঠে আয়োজিত হচ্ছে ছোট-বড় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট। সেখানে কেবল জেলার ফুটবল ক্লাবগুলোই নয়, অংশগ্রহণ করছে পড়শি জেলার নাম করা ক্লাবও। সম্প্রতি জলঙ্গির সাদিখাঁড়দেয়াড় মাঠে শুরু হয়েছে এক ফুটবল টুর্নামেন্ট। ফাইনাল হবে সামনের ১৫ নভেম্বর। |
এ ছাড়াও মহকুমার ৮টা দলকে নিয়ে ইসলামপুরের হেড়ামপুরে ফুচটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল হয়ে গেল শুক্রবার। শনিবার থেকে ডোমকলের লস্করপুর গ্রামেও শুরু হচ্ছে ঝাড়খণ্ড-সহ এ রাজ্যের মোট ৭টি দলকে নিয়ে নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতা। ফুটবল ঘিরে স্থানীয় মানুষের উৎসাহের অন্ত নেই। আর সেই তালে তাল মিলিয়ে কেবল দিনের বেলাই নয়, রাতের ফুটবলেরও আয়োজন করতে পিছপা হচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। সম্প্রতি রানিনগর এবং মানিকনগর গ্রামেও রাতের ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়। সেখানে রাত ভর ভিড় করেছিলেন এলাকার ফুটবল প্রেমীরা। লস্করপুর জাগরনি সঙ্ঘের সম্পাদক আফতাবুদ্দিন মণ্ডল বলেন, “মানুষের ভাল ফুটবল দেখার চাহিদার কথা মাথায় রেখেই আমরা বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করছি। ঝাড়খণ্ড, নদিয়া, বর্ধমান, বীরভূম, হুগলির ফুটবল ক্লাব নিয়ে আমরা টুর্নামেন্ট করছি। এর জেরে খরচের তালিকাটা বাড়লেও গ্রামের ফুটবল প্রেমী মানুষেরা তা গ্রহণ করছেন।” ডোমকল মহকুমা ক্রীড়া সম্পাদক ধীমান দাস বলেন, “ফুটবল বরাবরই এই এলাকার মানুষের খুব প্রিয় খেলা। তবে বিভিন্ন কারণে অস্থিরতা তৈরি হয়। আর তার জেরেই খেলা প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। সেটা আবার ফিরে আসছে এটাই বড় ব্যাপার। আমরা চাই ফুটবলের হাত ধরে আবার শান্তি ফিরে আসুক।” |