|
|
|
|
|
|
|
মুখোমুখি ২... |
|
হুল্লোড়বাজি |
টালিগঞ্জের নতুন জুটি। অর্জুন চক্রবর্তী-মিমি চক্রবর্তী। ছবির নাম ‘বাপি বাড়ি যা’। এ বারও
মাথায় আশীর্বাদের হাত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আইডিয়াজ-এর। ছোট পর্দার বাম্পার
সাফল্যের পর বড় পর্দায়।
রবীন্দ্রনাথের গান, শাড়ি, লম্বা চুল বাদ। রসায়ন এক। সঙ্গে
ত্রিকোণ প্রেমের তৃতীয় কোণ শাল্মি বর্মন। আড্ডায় দেবশ্রুতি রায়চৌধুরী |
পত্রিকা: ‘বাপি’কে যে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে তা বাপিটা কে? অর্জুন: কে আবার? আমি!
পত্রিকা: সে কী! আপনাকে এই মেয়েরা মিলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে?
মিমি: (প্রচণ্ড হাসতে হাসতে) চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি।
অর্জুন: (চোখ পাকিয়ে) কিন্তু পারবি না। শেষে দেখবি এই ‘বাপি’ই তোদের সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।
পত্রিকা: তা ‘বাপি’ কেমন ছেলে? অর্জুন: কেমন আবার। এই আমার বয়সী, কলেজে পড়া একটু কনফিউজ্ড টাইপের ছেলে যেমন হয়...
মিমি: হ্যাঁ হ্যা। প্রচণ্ড কনফিউজ্ড। বুঝতেই পারে না প্রেম ব্যাপারটা কী। কার প্রেমে পড়েছে...
অর্জুন: আসলে আমি যেটা নই।
|
শাল্মি |
পত্রিকা: তার মানে প্রেমের ব্যাপারে বাস্তবে আপনার কোনও কনফিউশনই নেই?
অর্জুন: একেবারেই না। কোনও কালে ছিলও না।
মিমি: জিও। কী অ্যাটিটিউড!
শাল্মি: অর্জুন একটু একটু ‘বাপি’র মতোও বটে। এই যেমন ভিডিও গেমস খেলতে ভালবাসে। গাড়ি চালাতে ভালবাসে...
মিমি: আর পিজে (পুওর জোক) মাস্টার। এত বাজে জোকস বলতে পারে! উফ!
শাল্মি: হ্যাঁ, ওই ব্যাপারটা ও কোনও চেষ্টা না করেই করতে পারে!
অর্জুন: মোটেই না। আমি লোকজনকে হাসাতে পারি। এটা আমার গুণ...
মিমি: হাসাতে পারিস না ছাই। (পত্রিকার প্রতিনিধিকে লক্ষ করে) আপনি ভাবতে পারবেন না কী বোরিং সব পিজে বলে। যাকে বলে বিপিজে।
অর্জুন: ‘বাপি বাড়ি যা’ মানে ‘বিবিজে’ আর এটা বিপিজে...বেশ বেশ!
পত্রিকা: মিমি, আপনার চরিত্রটা কেমন? পোশাক দেখে মনে হচ্ছে...
মিমি: একদম এখনকার মেয়ে তো? একদম আমি? (হাসতে হাসতে) থ্যাঙ্ক গড! শাড়ি পরতে হচ্ছে না আর। যে চরিত্রটা করছি তার নাম দোলা। খুব ফান লাভিং। এখনকার একটা মেয়ে। (হঠাৎ থেমে হেসে ফেলে) প্রেম নিয়ে উৎসাহ নেই যদিও।
পত্রিকা: শাল্মি, আপনি এখানে কে?
শাল্মি: আমিও ওদের সঙ্গে পড়ি। তবে আমার ধরনটা আলাদা। উত্তর কলকাতায় বড় হওয়া একটা মেয়ে, যার ফিলোজফিটা অন্য রকম। ‘বাপি’কে মানুষ করার দায়িত্বটা আমারই বলতে পারেন...
পত্রিকা: সে কী! অর্জুন, আপনি তা হলে এখনও মানুষ হননি?
অর্জুন: (কপট রাগে) কোনও মানে হয়? আমি ‘বাপি’ নই। অর্জুন চক্রবর্তী খুব ম্যাচিওর ছেলে। আপনারা যে রকম ভাবছেন মোটেও সে রকম না। সুদেষ্ণাদি-রাণাদাকে জিজ্ঞেস করুন (সুদেষ্ণা রায় ও অভিজিৎ গুহ, ‘বাপি বাড়ি যা’র পরিচালক)।
(মিমি আর শাল্মি তত ক্ষণে হাসতে হাসতে লুটোচ্ছেন)
মিমি: অর্জুনকে মানুষ করাই তো এ ছবিতে সবার লক্ষ্য। ওর বৌদির চরিত্রে অভিনয় করছেন বুলবুলি। তিনিই তো বুঝতে পারেন যে ছেলে আর বাচ্চা নেই। পাশ বালিশ জড়িয়ে-টড়িয়ে শুচ্ছে। এই-ওই ছবি দেখছে।
অর্জুন: এই এই। যা-তা হচ্ছে কিন্তু!
|
অর্জুন আর মিমি |
পত্রিকা: আচ্ছা, মিমি আর শাল্মির কাছে আপনার ম্যাচিওরিটির পরীক্ষা নেওয়া যাক। মিমি-শাল্মি, প্রেম নিয়ে সমস্যা হলে অর্জুনের কাছে সাহায্য চাইবেন? ফোন করবেন? মিমি: পাগল! ওকে ফোন করলে বলবে, “ও তাই! এই সব হয়েছে বুঝি? তা তোর সঙ্গে এ রকমই হত!”
শাল্মি: আমি খুব প্রাইভেট পার্সন। প্রেম নিয়ে সমস্যা হলে যার সঙ্গে সমস্যা তাকেই বলব। ওকে বলতে যাব কেন?
(অর্জুন করুণমুখে বালিশে মুখ লুকিয়েছেন তত ক্ষণে)
পত্রিকা: (অর্জুনকে) আহা! মন খারাপ করছেন কেন? দাঁড়ান, এ বার মেয়েরা আপনার ভালগুলো বলবে এক এক করে..
মিমি আপনি বলুন।
মিমি: (ফিচেল হেসে) সিনসিয়ার। খুব খাটিয়ে। কাজ ভালবাসে। ভাল বন্ধু..
পত্রিকা: আর খারাপ দিকগুলো?
অর্জুন: এ রকম তো কথা ছিল না...
মিমি: (প্রচণ্ড হাসতে হাসতে শাল্মির দিকে তাকিয়ে) তুই বল আগে..
শাল্মি: আগে ভালগুলো বলি। হ্যাঁ, খুব মন দিয়ে কাজ করে। যা করতে ভালবাসে সে সব ব্যাপারে খুব সিরিয়াস। আর খারাপটা হল খুব বিচ্ছিরি রকমের লম্বা...
(এটা শুনে অর্জুনের চিৎকার আর মিমির হাসিতে রেকর্ডার প্রায় ফেটে যাওয়ার জোগাড়)।
অর্জুন: হচ্ছেটা কী! লম্বা হওয়াটা আমার কন্ট্রোলে ছিল নাকি?
(মিমি তখনও লুটোচ্ছেন)
শাল্মি: (গম্ভীর মুখে) তাও সরি বল! খুব বাজে লম্বা তুই। এ রকম লম্বা হওয়ার মানে হয় না!
পত্রিকা: অর্জুন, বলছিলেন বাস্তবে প্রেমের ব্যাপারে খুব সিরিয়াস। তা সেখানে নিশ্চয়ই এই মেয়েদের মতো বান্ধবী সারা ক্ষণ বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন না?
অর্জুন: একদমই না। আমার ফ্যামিলি যেমন, ও-ও ঠিক সেই ভাবে আমার সব সিদ্ধান্তে পাশে থাকে। বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া বা মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
পত্রিকা: আর মিমি, আপনার জীবনের ‘বাপি’ বা ‘বাপি’রা? তারা কী করে?
মিমি: প্লিজ, এই উত্তরটা বড় বড় করে লিখে নিন। আমার জীবনে কোনও ‘বাপি’ নেই। আমি সিঙ্গল। একদম। (মুচকি হেসে) ঠিকঠাক ‘বাপি’র অপেক্ষায় দিন গুনছি।
|
ছবি: সোমনাথ রায় |
|
|
|
|
|