উত্তর কলকাতা
সংস্কারের ভাবনা
সবুজে অবহেলা
দোলনা ভাঙা। স্লিপ ভাঙাচোরা। চার পাশে জঞ্জাল ছড়িয়ে আছে। ছাগল-ভেড়া চরে বেড়াচ্ছে। জলাশয়টিও নোংরা। ছবিগুলি কলকাতা পুরসভার ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি মহম্মদ মহসিন স্কোয়্যারের।
প্রায় ১২ বিঘা জায়গা জুড়ে হাজি মহম্মদ মহসিন স্কোয়্যার। ওয়েলেসলি স্কোয়্যার নামেই বেশি পরিচিত। অনেকটা অংশ জুড়ে জলাশয়। তার চার পাশে হাঁটাচলার রাস্তা। পার্কের দুই ধারে দু’টি শিশু উদ্যান আছে। প্রবেশপথের বাঁদিকে গোলাকৃতি কংক্রিটের ছাউনির বিশ্রামাগার। উদ্যানের ভিতরে পুরসভার একটি স্কুলও চলে। রয়েছে একটি বেসরকারি স্কুলও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে উদ্যানটির বেহাল অবস্থা।
শিশু উদ্যান দু’টিতে অনেক খেলনা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একটির স্লিপ ভাঙা। চার পাশ আগাছায় পূর্ণ। অবাধে ভেড়া, ছাগল চরে বেড়ায়। দোলনার স্তম্ভ ছাড়া কিছু নেই। অন্য শিশু উদ্যানটিতে সিমেন্টের স্ল্যাব ডাঁই করে রাখা আছে। পড়ে রয়েছে জঞ্জাল। জলাশয়টিরও বেহাল অবস্থা। জল নোংরা হয়ে গিয়েছে। অনেকে মাছ ধরার জন্যও আসেন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, “পার্কে নিরাপত্তা রক্ষী নেই। গেট কখনও বন্ধ হয় না। অবাধে লোক যাতায়াত করে।” পুরসভা সূত্রে খবর, অনেক দিন পার্কটির সংস্কার হয়নি। ২০০৫-এ কেইআইপি অল্প সংস্কারের কাজ করেছিল। বছর দুই আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উদ্যানে ভেষজ নার্সারি তৈরি করে। নার্সারি রক্ষণাবেক্ষণে তারা রক্ষী নিয়োগ করেছিল। এখন প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
নিরাপত্তারক্ষীও আর নেই।
স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের ইকবাল আহমেদ বলেন, “গত পুরবোর্ডই এই অবস্থার জন্য দায়ী। স্থানীয় পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এই মুহূর্তে বেসরকারি স্কুলটি সরানো হচ্ছে না।” মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “উদ্যানটির খুব খারাপ অবস্থা জানি। শিশু উদ্যান দু’টি এবং জলাশয়ের সংস্কারের ব্যাপারেও তৎপর হবে পুরসভা। উদ্যানের কিছু অংশে আবার ভেষজের চাষ শুরু করার কথা চলছে। স্কুল দু’টির প্রবেশপথ ঘুরিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।”

ছবি : পিন্টু মণ্ডল




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.