ছাড়তে রাজি নয় মোহনবাগান, পুণে
সুনীল-জেজের ডাক গ্লাসগো রেঞ্জার্সে
দেশের দুই সেরা স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রী ও জেজে-কে এ মাসেই প্রথম দলের সঙ্গে ট্রায়ালে ডাকছে স্কটল্যান্ডের বিশ্বখ্যাত ক্লাব গ্লাসগো রেঞ্জার্স।
রেঞ্জার্সের সরকারি ওয়েবসাইটে এ খবর বেরনোয় তুমুল আলোড়ন ভারতীয় ফুটবল মহলে। তবে সুনীল ও জেজের ক্লাব সরকারি ভাবে কিছুই জানে না। মোহনবাগান, পুণে এফসি দু’পক্ষই মরসুমের মাঝে এ ভাবে ফুটবলার ছাড়তে নারাজ। মোহনবাগান কর্তারা চিন্তায়, ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ সামনে বলে। তবে সুনীলদের চুক্তিতে ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলে তাঁদের ছাড়তেই হবে।
রেঞ্জার্স ওয়েবসাইটে অবশ্য বলা হচ্ছে, দুই তারকা প্রথম দলের সঙ্গে ট্রেনিং করবেন। পছন্দ হলে নেওয়া হবে তাঁদের। ক্লাবের প্রশাসনিক অফিসার আলি রাসেল বলেন, “ওরা পরের সপ্তাহেই আসছে এখানে।” ক্লাবের বিজনেস হেড রেমন্ড ফেরিলি এ মাসের শেষে মোহনবাগান, পুণে এফসি, টিএফএ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। ভারতের কর্তারা এ সব কিছু জানেন না। জেজে নিজে বললেন, “আমি কিছু জানি না। তবে ডাক পেলে অবশ্যই যাব।”
ড্যানিয়েলও অনিশ্চিত: এ দিকে মরসুমের প্রথম ডার্বিতে সুব্রত ভট্টাচার্যের টিমের রক্ষণে সম্ভবত কোনও অস্ট্রেলীয়কে দেখা যাবে না। ওডাফা, ব্যারেটো এবং হাদসনকে নিয়েই মর্গ্যান-বধে নামার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ভাবছেন মোহন টিডি। আশাবাদী, ওডাফা-ব্যারেটো ফিট হয়ে যাবেন।
সুনীল ও জেজে: স্বপ্ন সফল হবে?
ট্রায়ালে থাকা দুই অস্ট্রেলীয় স্টপার সাইমন স্টোরি এবং ড্যানিয়েল জিলানিকাউকেই মনে ধরেনি মোহনবাগান টিডি-র। ড্যানিয়েল ভাল খেলছেন সাইমনের থেকে। কিন্তু ক্লাব সূত্রের খবর, সুব্রত এত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ। তিনি চাইছেন, অন্য ধরনের স্টপার। টিডি অবশ্য বললেন, “কাল এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব”। আনোয়ার-নবি-সুনীল-জুয়েল রাজারা গুয়াহাটিতে ভারতের হয়ে খেলতে চলে গেলেন। ১৮ নভেম্বরের আগে তাঁরা ফিরছেন না। ফলে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে রক্ষণ এবং দল সংগঠনের জন্য সুব্রত তার পর হাতে সময় পাবেন মাত্র এক দিন। পরিস্থিতি বিচার করে ‘অন্য রাস্তা’ নিতে চাইছেন ময়দানের পোড়খাওয়া বাবলু। ডার্বির আগে কলকাতা লিগের দুটি ম্যাচে তাই জিতে মনোবল বাড়িয়ে রাখার পক্ষপাতী তিনি। “জেতার জন্য আই লিগের ফুটবলারদের কলকাতা লিগেও খেলাব,” বলে দিলেন সুব্রত। তবে ওডাফা-সহ হাতে থাকা তিন বিদেশিকে কলকাতা লিগের প্রথম দুটি ম্যাচে খেলাবেন না সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। “২০ নভেম্বর পর্যন্ত কিছু বাধ্যবাধকতা রাখছি। তার পর বিদেশিরাও কলকাতা লিগে খেলবে,” বলে দিলেন সুব্রত।
এ দিকে, কলকাতার প্রথম ক্লাব হিসাবে আই লিগের ম্যাচ নিজেরা সংগঠন করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে মোহনবাগান। সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, “আজ পর্যন্ত কোনও ম্যাচের গেটসেল থেকে আমরা ৫-৬ হাজারের বেশি টাকা পাইনি আইএফএ থেকে। এ বার যুবভারতীতে দুটো ম্যাচের টিকিট বিক্রি করে পেয়েছি প্রায় দু’লাখ টাকা। বড় ম্যাচে আমরা বাজারে এক লাখ টিকিট ছাড়ছি। কারণ এই ম্যাচটা আমরাই সংগঠন করব।” পাশাপাশি কলকাতা লিগের টিভি স্বত্ব বিক্রি করে আইএফএ যে টাকা পেয়েছে তার পঁচিশ শতাংশ দাবি করল মোহনবাগান।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.