বাড়ানো হল সাইটস্ক্রিনের উচ্চতা
সচিনকে দেখতে দু’দিনে বিক্রি মাত্র ৩২৪ টিকিট
চোখের সামনে ঝুলছে সচিনের একশো নম্বরের সাক্ষী থাকার ‘গাজর’। তাতেও হাই উঠছে শহরের। ক্রিকেটজ্বর আসা দূরের কথা, সামান্য ফুসকুড়িও হয়নি। নয়তো দু’দিনে কখনও বিক্রি হয় মাত্র ৩২৪ টিকিট! কেউ কোনও দিন শুনেছে? চাহিদা বলতে কমপ্লিমেন্টারি টিকিটের আর তাতেও শর্ত‘‘ইন্ডিয়া যে দিন ব্যাট করবে, সে দিন দেবেন!” সোমবার থেকে শুক্রবারের টেস্ট, অফিস বা স্কুল কামাই করে সাত সকালে ইডেন ভরানোর কোনও বাসনা প্রথম বল পড়ার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে অন্তত নেই। সন্ধের সিএবি-তে রীতিমতো মাছি তাড়াচ্ছেন কর্তারা। টিকিট-প্রত্যাশীদের হামলা একেবারেই নেই। শহরে ধোনি-সহবাগরা এ দিনই ঢুকে পড়েছেন, সচিন শনিবার পা রাখছেন, তবুও।
টিকিটের চাহিদার দু’টো দিক। ভারত কবে ব্যাট করবে, আরও নির্দিষ্ট করে বললে সচিন তেন্ডুলকর কখন নামবেন। এই হল চাহিদা নম্বর এক। যেখানে সচিনের ব্যাট করার উপর নির্ভর করবে দৈনিক টিকিটের চাহিদা। দুই, টিকিট বিক্রির হিসেব। যেখানে প্রথম দিন বিক্রি হয়েছিল মাত্র ৯৮-টি টিকিট। আর এ দিন বিক্রি মোটে ২২৬-টি টিকিট! ইডেনের দর্শকাসন ৬৭ হাজার মতো (ক্লাবহাউস ধরে)। সদস্যদের জন্য বরাদ্দ হাজার পঁচিশেক টিকিট। তার পরে যা থাকে, তা সাধারণের জন্য। টেস্ট ম্যাচে ধূ-ধূ ইডেন গত কয়েক বছর ধরেই পরিচিত দৃশ্য। এ বার অবস্থাটা আরও ভয়াবহ। অথচ শুধু সচিনের শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি নয়, ইডেন টেস্ট আক্ষরিক অর্থে ঐতিহাসিক। ইডেনে টেস্টের প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী যেমন হচ্ছে, তেমনই জিতলে হতে পারে ঘরের মাঠে ভারতের ৭৫তম টেস্ট জয়।
আর যার জন্য এত প্রতীক্ষা? সেই সচিনের জন্যেও তো সাজছে ইডেন। ক্লাবহাউস প্রান্তে সাইট স্ক্রিনের উচ্চতা ১৬ ফুট, আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী যা হওয়া উচিত সাড়ে উনিশ ফুট।
হেলমেট হাতেই শহরে। কলকাতা বিমানবন্দরে
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
২০০৫-এ ভারত-পাকিস্তান টেস্টে আউট হওয়ার পরে সচিনের অভিযোগ ছিল, সাইটস্ক্রিন ছোট থাকায় এবং ক্লাবহাউসের লোয়ার টিয়ারে লোক চলাচল করায় তাঁর মনঃসংযোগ নড়ে গিয়েছিল। পরেও বেশ কয়েক বার সাইটস্ক্রিনের উচ্চতা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সচিন। সে সব মাথায় রেখে সাইটস্ক্রিনের উচ্চতা সাদা কাপড় দিয়ে বাড়িয়ে সাড়ে উনিশ ফিট করা হল শুক্রবার সন্ধেয়। যার জন্য ক্লাবহাউসের লোয়ার টিয়ারে কমছে ১৪৯ আসন। সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া অবশ্য বলছেন, “সাইট স্ক্রিনের উচ্চতা নিয়ম অনুযায়ীই থাকবে। ম্যাচ রেফারি যে রকম বলবেন, সে রকমই রাখা হবে।” উইকেট নিয়ে বোর্ডের সতর্কবার্তা আগেই এসেছিল সিএবি-র কাছে, এ দিন আবার ঢুঁ মেরে গেলেন বোর্ডের পিচ কমিটির সদস্য রাতুল দাস। আর কিউরেটর প্রবীর মুখোপাধ্যায় দাবি করছেন, পাঁচ দিনের টেস্টের উপযোগী উইকেটই থাকবে। “নভেম্বর মাস। সবে শীত পড়ছে। সকালে ভিজে ভাবটা থাকবে বলে বল সুুইং করবে। চতুর্থ দিন থেকে বল টার্ন করবে।”
ঘরের ছেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরও প্রত্যাশা ভাল উইকেট। “টেস্টের উইকেটটা এখনও দেখিনি। তবে আশা করছি ম্যাচে ফলাফল হবে এবং ভারত ৩-০ সিরিজ জিতবে,” সল্টলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বাংলার প্র্যাক্টিস শেষে বলছিলেন সৌরভ। সচিনের সেঞ্চুরির সম্ভাবনা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “পনেরো হাজার রান যখন হয়েছে, একশোতম সেঞ্চুরিটাও হয়ে যাবে কোথাও না কোথাও।” আর হরভজন বনাম অশ্বিন? সৌরভ এখনই সর্দারের সঙ্গে অশ্বিনকে একাসনে বসাতে চাইছেন না। বরং বলছেন, “আরও দু’বছর না দেখে অশ্বিনকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো উচিত হবে না। হরভজনের সঙ্গে ওর তুলনা চলে না। হরভজনের চারশোটা টেস্ট উইকেট আছে। অশ্বিন নিঃসন্দেহে ভাল বল করছে, কিন্তু এটাও মাথায় রাখা ভাল যে নরেন্দ্র হিরওয়ানিও প্রথম টেস্টে ১৬টা উইকেট পেয়েছিল।”
সব মিলিয়ে কী দাঁড়াল? একশোতম সেঞ্চুরিরও কি বক্স অফিস আছে কি?




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.