|
|
|
|
|
|
খেলা |
উজ্জ্বল জ্যোতি |
চন্দন রুদ্র |
হাওড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে বেড়ে ওঠা। সদ্য কেপটাউনে ইউথ কমনওয়েলথ গেমস-এ ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় রুপো জিতেছে। স্কুলপড়ুয়া জ্যোতি মালের স্বপ্ন এখন অলিম্পিকে পদক জেতা।
অভাব জ্যোতির পরিবারের নিত্যসঙ্গী। বাবা চঞ্চলবাবু পাইপ কারখানায় কাজ করেন। মা করুণাদেবী করেন জরির কাজ। মামার বন্ধু ভারোত্তোলক কোচ অষ্টম দাসের উৎসাহে ভারোত্তোলন চর্চা শুরু করে জ্যোতি। সাফল্য পেতে বিশেষ সময় লাগেনি। ২০০৮-এ আন্দুলে জেলা ভারোত্তোলনে ৪৪ কেজি-তে নেমেই রুপো জেতে জ্যোতি। এর পরে ভোপালে স্কুল ন্যাশনালে ৪৮ কেজি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়। হরিয়ানায় গত জাতীয় ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পেলেও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক-এ প্রথম স্থানে ছিল জ্যোতি। |
|
ছবি: রণজিৎ নন্দী |
বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্যাম্পে ডাক পাওয়ার পরে আসে যুব কমনওয়েলথ গেমস-এ দেশের হয়ে যোগ দেওয়ার সুযোগ। জ্যোতির কথায়: “দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে সাড়ে চার মাসের ক্যাম্প হয়। এই প্রথম অন্য দেশে গেলাম। প্রথম বিমানে চড়ার সুযোগ।” একাধিক দেশের প্রতিযোগীকে হারিয়ে ৪৮ কেজি বিভাগে রুপো জেতে জ্যোতি।
দেউলপুর হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির এই ছাত্রীটিকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন কোচ অষ্টম দাস। তিনি বললেন, “সরঞ্জাম উপযুক্ত নয়। জ্যোতির বাড়ির অবস্থা ভাল নয়। ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার জোটে না। একটু সহযোগিতা দরকার।” রাজ্য ভারোত্তোলন সংস্থার সম্পাদক শৈলেন ভাপসী বললেন, “বাংলা থেকে একমাত্র ও-ই ডাক পেয়েছিল। আমরাও চাই, জ্যোৎস্না দত্ত, ছায়া আদকদের মতো জ্যোতিও সফল হোক।” |
|
|
|
|
|