নিজস্ব সংবাদদাতা•উলুবেড়িয়া |
দীর্ঘদিন বেহাল বাউড়িয়া ও উলুবেড়িয়ার মধ্যে বিস্তৃত ১৫ কিলোমিটার রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় ৬ মাস আগে। উলুবেড়িয়া পুরসভার পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল দুর্গাপুজোর আগেই রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষ করে ফেলা হবে। কিন্তু দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ। সংস্কার হয়েছে বাউড়িয়া থেকে চেঙ্গাইল বাজারের আগে পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা। বাকি রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। |
রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। চেঙ্গাইল বাজার, ফুলেশ্বর স্টেশন রোড, কালসাপা বাজারের মতো জনবহুল এলাকাগুলি এই রাস্তার ধারেই। আবার, কানোরিয়া, ল্যাডলো বা প্রেমচাঁদের মতো জুটমিলগুলিতে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাও হল এটি। তা ছাড়া, রাজ্যের অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট ফুলেশ্বর বাংলোতে পৌঁছতে হলেও এই রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সংস্কার না হওয়া ৮ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়ছেন চালকেরা। সাধারণ মানুষও ধুলোর চোটে নাকাল হচ্ছেন। কেন ৮ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ?
পুরসভার তরফে ওই রাস্তা সংস্কারের দায়িত্বে রয়েছেন চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল (পূর্ত) শেখ সেলিম। তিনি বলেন, “বৃষ্টির মরসুম থাকায় কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তা ছাড়া, যে অংশের সংস্কার বাকি, তার মধ্যে দু’কিলোমিটার রেলের। সেই অংশের কাজ করার জন্য রেলকে অনুরোধ করেছি। বাকি কাজ দিন দশেকের মধ্যেই শেষ করে দেওয়া হবে।” শেখ সেলিম আশ্বস্ত করলেও পুরপ্রধান দেবদাস অধিকারীর কথায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তাটির বাকি থাকা অংশের সংস্কার নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। দেবদাসবাবু বলেন, “পুরসভার টাকা নেই। ঠিকাদাররা ঠিকমতো পাওনা পাচ্ছেন না। তাই কাজ বন্ধ।”
টাকার সমস্যাকে অবশ্য ততটা গুরুত্ব দিতে চাননি শেখ সেলিম। তিনি বলেন, “ঠিকাদারদের পরে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। কাজ অবিলম্বে শুরু করে দেওয়া হবে।”
রাস্তাটি পুরোপুরি মেরামতির পরে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ‘টোল’ আদায় নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে পুরসভা। পুরপ্রধান জানান, তিনটি জুটমিলের কাঁচামাল নিয়ে যে সব দশ চাকার ভারী ট্রাক যাতায়াত করে, তার জন্যই রাস্তাটি ভাঙে। সেই কারণেই ‘টোল’ আদায়ের চিন্তাভাবনা চলছে। রাস্তা তৈরির খরচও বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। আর একটি বিকল্প রাস্তা তৈরিরও পরিকল্পনা আছে। |