|
|
|
|
আগরতলা বিমানবন্দরে বিধায়কের হাতব্যাগে বুলেট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
রাহুল গাঁধীর সফর উপলক্ষে ত্রিপুরায় এসেছিলেন হরিয়ানার এক কংগ্রেস বিধায়ক অনিল ধন্বন্তরি। গত কাল সন্ধ্যায় কলকাতা যাওয়ার বিমান ধরার জন্য আগরতলা বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাঁর হাতব্যাগ থেকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা খুঁজে পান একটি বুলেট। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বলয়ে এক্স-রে মেশিনে পরীক্ষাতেই নজরে আসে ব্যাপারটি। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ কর্মীরা হাতব্যাগটি তল্লাশি করে উদ্ধার করেন তাজা একটি বুলেট। তার
পরই ব্যাপারটি নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। পয়েন্ট থ্রি-টু রিভলবারের জন্য এই বুলেট ব্যবহার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
নিয়মানুসারে ওই বিধায়ককে আটক করেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা। সিআইএসএফের জিজ্ঞাসাপর্বের সময় বিধায়ক অনিল ধ্বন্তরি তাঁর নিজের পরিচয়পত্র বার করে দেখান। তিনি জোর গলায়
দাবি করেন, রিভলবার রাখার তাঁর লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু সেই
লাইসেন্স তিনি সেই মুহূর্তে দেখাতে পারেননি। রিভলবার রাখার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারায় সিআইএসএফের কর্মীরা তাঁকে কাল বিমানে উঠতেও দেননি।
এ খবর প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের কাছে পৌঁছতেই তড়িঘড়ি করে তাঁরা বিমানবন্দরে ছুটে আসেন। সিআইএসএফ কর্মীর সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাঁরা অনিলকে নিরাপত্তাকর্মীদের হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর পেয়ে রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারাও বিমানবন্দরে যান। কিন্তু ততক্ষণে হরিয়ানার বিধায়ক নিরাপত্তাকর্মীদের ঘেরাটোপমুক্ত হয়ে চলে গিয়েছেন।
সিআইএসএফের দাবি, বিধায়কের লিখিত বয়ানের ভিত্তিতেই তাঁকে ছাড়া হয়েছে। সিআইএসএফের তরফে অবশ্য স্থানীয় এয়ারপোর্ট থানায় কাল রাত বারোটা পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট বা ‘জিডি’ করা হয়নি। অথচ, ঘটনাটি ঘটেছে গত কাল সন্ধ্যায়।
রাজ্য পুলিশের এক ডিআইজি জানান, রাত একটা নাগাদ বিমানবন্দর থানায় সিআইএসএফের তরফে ওই ঘটনা সম্পর্কে একটি ‘জিডি’ করা হয়েছে। এ দিকে কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই
বিধায়কের হাতব্যাগ থেকে রিভলবারের গুলির একটি ‘খোল’ পাওয়া গিয়েছে। কোনও তাজা ‘বুলেট’ উদ্ধার করা হয়নি। রিভলবারও তাঁর সঙ্গে ছিল না। বিধায়ক লাইসেন্সের কাগজপত্র সময়মতো হয়তো দেখাতে পারেননি, তাই তাকে সাময়িক ভাবে আটক করা হয়েছিল। |
|
|
|
|
|