|
|
|
|
প্রাক্তন ডিজিকে দুষলেন গারো জঙ্গি নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
প্রাক্তন ডিজির বিরুদ্ধে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুললেন ‘বিদ্রোহী’ ডিএসপি তথা গারো জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ প্রধান চ্যাম্পিয়ন সাংমা। সাংমার দাবি, ২০০৯ সালে, শিলংয়ের পুলিশবাজারে ভজনলাল নামে এক ব্যবসায়ী জিমি এন সাংমা নামে এক চিকিৎসককে মারধর করেন। ওই চিকিৎসককে চূড়ান্ত অপমান করা হয় বলেও অভিযোগ। সাংমার অভিযোগ, ওই সময় ডিজি বি কে দে সোয়াইঁয়ের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে অন্যায় করেও পার পেয়ে যান ওই ব্যবসায়ী।
চ্যাম্পিয়নের দাবি, “খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চিকিৎসকের শুশ্রুষা করি ও চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে ভজনলালকে গ্রেফতার করে শিলং সদর থানায় নিয়ে যাই। ভজনলাল, মুখ্যমন্ত্রী ও ডিজির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার দাবি করে, পুলিশকে অকথ্য গালিগালাজ করছিলেন। মেজাজ হারিয়ে তাঁকে থাপ্পড় মেরেছিলাম। পরে রুল দিয়েও তাঁকে মারি। এর পর ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে ভজনলালকে হাজতে পাঠাই।”
চ্যাম্পিয়ন আরও দাবি করেন, ভজনলালের আত্মীয়রা মন্ত্রী ও পুলিশের বড়কর্তাদের ফোন করতে থাকেন। রাতে, ডিজি বি কে দে সোয়াইঁ নিজে গাড়ি চালিয়ে থানায় হাজির হন। ওসিকে বকাঝকা করে, অবিলম্বে ভজনলালকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। জঙ্গি নেতার অভিমত, যে ভাবে মামলা রুজু হওয়া ব্যবসায়ীকে অন্যায় ভাবে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ডিজি, তাতে, ডিজিকেও হাজতে পোরা উচিত ছিল।
ঘটনার পরে ব্যবসায়ীকে প্রহার করায় চ্যাম্পিয়নের নামে মামলা করা হয়েছিল। চ্যাম্পিয়নের দাবি, ডিজির ষড়যন্ত্রেই তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে ফাঁসানো হয়। ঘটনায় জড়িত না থাকলেও, চ্যাম্পিয়নের স্ত্রী এনরিটা এন মারাকের নামে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি হয়েছিল। অবশ্য পরে, আদালতে মামলায় জিতে যান এনরিটা। চ্যাম্পিয়নের নামে পরোয়ানা থাকলেও, এনরিটার নাম মামলা থেকে বাদ যায়। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন জঙ্গি নেতার স্ত্রী। |
|
|
|
|
|