|
|
|
|
বরাক উপত্যকা |
বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিধায়ক আবার আন্দোলনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
বরাক উপত্যকায় বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রতিবাদে আবার আন্দোলনে নামছেন কাছাড় জেলায় কাটিগড়ার বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুইয়া। এ বার অবস্থান ধর্মঘট। এআইইউডিএফ-এর এই বিধায়কের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই বরাক উপত্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অতি শোচনীয়। কী রেলপথ, কী সড়কপথ, কোনওটাই উপত্যকাবাসীর কাছে সহজ যোগাযোগের উপায় নয়। ব্রডগেজ চালু হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা প্রতিনিয়ত পিছিয়ে চলেছে। ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর প্রকল্পের কাজও বন দফতরের ছাড়পত্রের জন্য আটকে রয়েছে। জাতীয় সড়কগুলিতে স্থানে স্থানে পুকুরের মতো গর্ত। একই অবস্থা গ্রামীণ সড়কগুলিরও।
আতাউর মনে করেন, এই সমস্যাটা শুধু কাটিগড়া বা বরাকবাসীর নয়। এই বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য একই ভাবে ভুগতে হয় ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরামের মতো প্রতিবেশী রাজ্যের মানুষদেরও। তাই পড়শি রাজ্যগুলির বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করছেন তিনি। পাশাপাশি কথা বলছেন কংগ্রেস-বিজেপি-সহ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। অবস্থান ধর্মঘটে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ২৪ নভেম্বর থেকে টিকরপাড়ায় জাতীয় সড়কের পাশে শুরু হবে আতাউরের প্রতিবাদী কর্মসূচি। চলবে পাঁচ দিন। এই আন্দোলনে তিনি সামিল করতে চান সমগ্র বরাক উপত্যকার সকল মানুষকে। আতাউর জানান, ২০০৯ সালে তৎকালীন উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী বিজয়কৃষ্ণ সন্দিকৈ রেলকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, ২০১২ সালে চালু হয়ে যাবে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইন। এখন নতুন মন্ত্রী পবনসিংহ ঘাটোয়ার শিলচরে এসে সভা করে জানিয়ে দিয়েছেন, কাজ শেষ হতে হতে ২০১৪ সাল। ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর নির্মাণে সমস্যা আরও তীব্র। বনবিভাগের অনুমতির জন্য ঘাটোয়ার রাজ্য ও কেন্দ্রের বনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে জাতীয় প্রকল্প দু’টি এখন শেষ হচ্ছে না। আতাউর চান, শিলচর-জাগীরোড-গুয়াহাটি বিকল্প সড়ক নির্মাণের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হোক
আতাউর জানান, প্রস্তাবিত সড়কের অধিকাংশ অংশেই যানবাহন চলাচল করে। বাকিটুকুতে জমি অধিগ্রহণের কোনও ব্যাপার নেই। সামান্য নির্মাণ এবং সংস্কার হলেই মেঘালয়ে না ঢুকে গুয়াহাটি যাওয়া সম্ভব। |
|
|
|
|
|