|
|
|
|
অণ্ণাদের বিঁধল কংগ্রেসও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
অণ্ণা হাজারের সঙ্গীদের সম্পর্কে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কড়া মন্তব্যকে সমর্থন করল কংগ্রেস। এর মাধ্যমেই আগামী দিনে অণ্ণাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর প্রস্তুতিও শুরু করল তারা। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে কেন্দ্রের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। অণ্ণা-শিবিরও।
বিহারের খসড়া লোকায়ুক্ত বিল নিয়ে অণ্ণা-সঙ্গীদের সমালোচনায় নীতীশ কালই বলেছিলেন, “অণ্ণা-সঙ্গীদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নই।” নীতীশের ওই মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি আজ বলেন, “বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলতে চেয়েছেন, আইন প্রণয়নের অধিকার কেবল জনপ্রতিনিধিদেরই রয়েছে।” আজ অবশ্য অণ্ণাদের সম্পর্কে সুর কিছুটা নরম করে নীতীশ বলেন, “আমার কারও বিরুদ্ধে অসন্তোষ নেই।” নীতীশের দল জেডিইউ সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, গত কালের ওই মন্তব্যকে কংগ্রেস অস্ত্র করবে বুঝেই নীতীশ কিছুটা অন্য সুরে কথা বলেছেন। তবে অবস্থান বদল করেননি।
নীতীশের কড়া বার্তায় অণ্ণা-শিবির যথেষ্ট বিপাকে। কংগ্রেস যে ভাবে নীতীশের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাকে কটাক্ষ করে অণ্ণা-সঙ্গী ও আইনজীবী শান্তি ভূষণ এ দিন বলেন, আমি জানি না, দু’জনের মধ্যে কোনও সমঝোতা হয়েছে কিনা!” বিব্রত বিজেপিও। আগাগোড়াই অণ্ণাদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছে তারা। কারণ অণ্ণাদের কংগ্রেস-বিরোধিতায় লাভ হয়েছে তাদেরই।
সনিয়া গাঁধী অণ্ণাদের বিরুদ্ধে প্রথম মুখ খুলে ক’দিন আগেই বলেছিলেন, ‘সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে লোকপাল বিল পাশ করাবে সরকার। তা নিয়ে আগেভাগে হইচই হচ্ছে কেন’? অনেকেই মনে করছেন, অণ্ণা ও তাঁর সঙ্গীদের সম্পর্কে কংগ্রেস অনেক আগে থেকেই কড়া অবস্থান নিতে চাইছিল। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে দুর্নীতির প্রশ্নে তারা যে রকম কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল, তাতে অণ্ণাদের সমালোচনা করলে হিতে বিপরীত হচ্ছিল। কিন্তু নীতীশের সেই সমস্যা নেই। তাই তিনি সহজেই অণ্ণাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। আর এটাকেই কাজে লাগাতে সক্রিয় কংগ্রেস। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির, বিশেষত বিজেপির অন্যতম সহযোগী নীতীশের ওই কড়া মন্তব্যকে কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে রাজি নয় তারা। |
|
|
|
|
|