গয়েরকাটার মধুবনীতে উদ্বোধন হল পর্যটন কেন্দ্রের। শুক্রবার ওই পর্যটন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মাদারিহাট-বীরপাড়া এলাকার আরএসপি বিধায়ক কুমারী কুজুর। চা বাগান ও জঙ্গলে ঘেরা মধুবনী ঝোরার পাশের এক ফালি খালি জমিতে পর্যটন কেন্দ্র তৈরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় পরিবেশ প্রেমী-সহ নানান স্তরের বাসিন্দারা। মনোরম ওই জায়গায় পর্যটন কেন্দ্র তৈরির কাজে এগিয়ে আসে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। টানা ৬ বছর ধরে কাজ চলার পর শেষ পর্যন্ত শুক্রবার উদ্বোধন হওয়ায় ডুয়ার্সের পর্যটন মানচিত্রে নতুন পালক সংযোজিত হল বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। ১০ একর জমিতে শিশু উদ্যান ও পর্যটকদের রাত কাটাবার জন্য ৪টি ঘর উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক। |
চা বাগানে ঘেরা মধুবনী। ছবিটি তুলেছেন রাজকুমার মোদক। |
তিনি বলেন, “মধুবনীতে এলে মানুষ ডুয়ার্সের জঙ্গল ও চা বাগানের স্বাদ এক সঙ্গে মেটাতে পারবেন। খুব তাড়াতাড়ি জায়গাটিতে পর্যটকদের ঢল নামবে বলে আশা করছি।” এক সময় কাঠের ব্যবসার জন্য গয়েরকাটার নাম জানতেন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা। সরকারের নানান বিধিনিষেধে কাঠ ব্যবসা এখন আর আগের মত নেই। ফলে ব্যবসা বাণিজ্যে তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাড়াতে হলে পর্যটনই একমাত্র পথ বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। গয়েরকাটা থেকে এক কিলোমিটার দূরে শান্ত মধুবনী নদীতে ফি রাতে ও ভোরে জল খেতে আসে বুনো হাতির পাল। খুট্টিমারি বনের পাশে ওই পর্যটন কেন্দ্রের পাশে রয়েছে গয়েরকাটা চা বাগান। বর্তমানে ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির হেপাজতে থাকা ওই পর্যটন কেন্দ্রের ঘরগুলি চালাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিন্তামোহন রায় বলেন, “এত সুন্দর পর্যটন কেন্দ্রে যে কেউ বার বার ছুটে আসবেন।” ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পক্ষে তাপস রায় ও শ্যামল মুখোপাধ্যায় বলেন, “উদ্বোধনের কয়েকমাস আগে থেকে পর্যটকরা এখানে রাত কাটাবার জন্য আবদার করছেন। খুব শীঘ্র আমরা ওয়েবসাইট ও রেল স্টেশনে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার চালাব।” স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সুব্রত পাল বলেন, “মধুবনী সফল হলে এই এলাকা ঘিরে বহু পর্যটক আবাস গড়ে উঠবে। গয়েরকাটা বাজার আগের মত রমরম করে চলবে মনে করছি।” |