দেশের সমস্থ লাভজনক বানিজ্যিক সংস্থাকে ‘সামাজিক দায়বদ্ধতার’ খাতিরেই দেশের উন্নয়নের কাজে যোগ দিতে আহ্বান জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার সাগরদিঘির ধালসা গ্রামে একটি মডেল স্কুলের উদ্বোধন করতে এসে প্রণববাবু বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে। সেই কারণে দু’টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা মিলে ৬ কোটি টাকা খরচ করে নবগ্রাম ও সাগরদিঘিতে ১০টি মডেল স্কুল তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫টি স্কুল চালু হয়েছে।”
তিনি জানান, ২০০৪-এ লোকসভা নির্বাচনে জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অনুরোধে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরে জেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের সাহায্যে শিক্ষা ও শিল্প ক্ষেত্রে উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, “ সাংসদ হিসাবে আমি চাই বিভিন্ন বানিজ্যিক সংস্থা সামাজিক দায়বদ্ধতা হিসাবে এই জেলায় কাজ করুক।” |
ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়। |
সাগরদিঘিতে প্রতিবন্ধীদের হুইলচেয়ার প্রদানের একটি অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, “প্রতিবন্ধীদের সরকারের তরফে হুইলচেয়ার দেওয়া হলেও বহু ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। মেরামতির অভাবে কিছু দিন পর থেকেই তা আর ব্যবহারযোগ্য থাকছে না। বহরমপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দিয়ে প্রতিবন্ধীদের দেওয়া ওই যন্ত্রগুলো মেরামত করার কথাও ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।”
এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন, কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় দফতরের মন্ত্রী মুকুল ভাসনিক। তাঁর অভিযোগ, “রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করায় প্রতিবন্ধীদের জন্য অন্য জেলায় সেভাবে কাজ করতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। অন্য জেলার প্রতিবন্ধীরা অনেক বাড়তি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রাজ্য সরকারের কাছে এ ব্যাপারে সাহায্য চাওয়া হয়েছে।”
এ দিন প্রণববাবু জঙ্গিপুরের সম্মতি নগরে একটি ব্যাঙ্কের শাখার উদ্বোধন করেন। পরে একটি সভায় তিনি বলেন, “দেশের দরিদ্রতম জেলা হিসাবে মুর্শিদাবাদের উন্নয়ন দরকার। এখানে সেই জন্যই বাঙ্কিং পরিষেবা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” এলাকায় সম্প্রতি পদ্মার ভাঙনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গিপুরের ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সেচ মন্ত্রী ও রাজ্য সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যৌথ ভাবে কাজ করার চেষ্টা হচ্ছে।” |