কুলজোড়া সমবায় সমিতির রাসায়নিক সার বিক্রির লাইসেন্স বাতিল করল মহকুমা কৃষি দফতর। সম্প্রতি মন্তেশ্বর ব্লকের ওই সমিতির বিরুদ্ধে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করেন ব্লক কৃষি আধিকারিক রঙ্গন বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সমবায় সমিতির সারের গুদাম ‘সিল’ করে দেওয়া হয়। শো-কজ করা হয় সমিতির কর্তাদের।
শুক্রবার মহকুমা কৃষি দফতরের এক আধিকারিক নিলয় কর বলেন, “ব্লক কৃষি দফতরের মাধ্যমে কুলজোড়া সমবায় সমিতির সম্পাদকের শো-কজের জবাব আমাদের হাতে আসে। এর পরেই ওই সমবায় সমিতির রাসায়নিক সার বিক্রির লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লাইসেন্স বাতিলের চিঠিটি সমবায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
মহকুমা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরেই কুলজোড়া সমবায় সমিতি সারের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এই সমবায় সমিতি থেকে ব্লকের বহু জায়গায় ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা সার বিক্রি করতেন। গুদাম সিল হওয়ার সময়ে সমিতির কাছে ছিল ৯০৪.৫ কুইন্ট্যাল সার। সবথেকে বেশি মজুত ছিল ১০:২৬:২৬।
মহকুমা কৃষি আধিকারিক স্বপনকুমার মারিক জানান, নিয়ম অনুযায়ী, লাইসেন্স বাতিলের এক মাসের মধ্যে মজুত সার বিক্রি করে দিতে হয়। ব্লক কৃষি আধিকারিকের উদ্যোগে একটি দল গঠন করা হয়। যারা ঠিক করে কী ভাবে ওই সার বিক্রি করা যাবে।
রবি মরসুমে মন্তেশ্বরের একটি বড় এলাকায় বোরো ধানের চাষ করে থাকেন চাষিরা। প্রয়োজন হয় রাসায়নিক সারের। এই সমবায় সমিতি থেকে সার বিক্রি বন্ধ হয়ে গেলে চাষিরা সারের জোগান পাবেন কোথা থেকে? জবাবে নিলয়বাবু বলেন, “এলাকার প্রায় ৭০ শতাংশ সারের জোগান দিত সমবায়টি। তবে এই সমবায় থেকে সার বিক্রি বন্ধ হয়ে গেলে চাষিরা যাতে সঙ্কটে না পড়েন, তার জন্য পিপলন ও মধ্যমগ্রামের তিনটি সমবায়কে বেনফেডের মাধ্যমে অতিরিক্ত সার দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আবেদন জানানো হয়েছে।” |