নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
ধস নেমে চারটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিল কুলটির সাঁকতোড়িয়া কলোনি এলাকায়। একটি ফাঁকা জমির বেশ কিছুটা অংশ বসে যায়। মাটির নীচ থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতেও দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। আব্দুল খালেক নামে এক বাসিন্দার কথায়, “হঠাৎ আমরা মাটি ফাটার আওয়াজ পাই। তখনই বুঝতে পারি, মাটি বসে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘর থেকে সবাইকে বের করে এনে রাস্তায় দাঁড়াই।” এ দিন বিকেলে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চারটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। তার মধ্যে দু’টির বিপজ্জনক দশা। আব্দুল খালেকের বাড়ি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেওয়ালের একাংশ ধসে গিয়েছে। কয়েকটি জায়গায় বেশ বড় ফাটল ধরেছে। তাঁর বাড়ির পিছনের দিকের একটি ফাঁকা জমিতে মাটি অনেকটা বসে গিয়ে গর্ত হয়েছে। সেখান থেকে অনর্গল ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে। তার কটূ গন্ধে চোখ জ্বালা করছে। |
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহম্মদ নসরতের বাড়িও। তিনি বলেন, “ঘরের সবাইকে বের করে নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। এখনও পর্যন্ত সরকারি স্তর থেকে কোনও সাহায্য আসেনি।’’ শুক্রবার এই ঘটনার পরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলটি থানার পুলিশ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে।
প্রায় ৮ বছর আগে সাঁকতোড়িয়া কলোনি সংলগ্ন সাঁকতোড়িয়া গ্রামে ধস নেমেছিল। সে বারও ইসিএলের কয়েকটি আবাসন-সহ একাধিক বাড়ির ক্ষতি হয়েছিল। মাটি ফুঁড়ে আগুন ও ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছিল সে বার। পরে ইসিএলের পক্ষ থেকে ওই অঞ্চলে মাটির তলায় জল ও বালির মিশ্রণ দিয়ে ভূগর্ভস্থ আগুন নেভানোর কাজ করা হয়েছিল। আসানসোলের মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত জানান, ওই এলাকাটি আগেই ধসপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এ দিনের ঘটনায় দুর্গতদের জন্য সাময়িক ত্রাণের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা প্রশাসনিক স্তরে দেখা হচ্ছে।” |