|
|
|
|
রোগীর কামড়ে জখম নার্স |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
রোগীর কামড়ে জখম হাসপাতালের এক নার্স। সোমবার সকালে মালদহ সদর হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ক্যাম্পের পুলিশ কর্মীরা গিয়ে ওই রোগীর হাত থেকে নার্সকে উদ্ধার করেন। পরে ওই রোগীকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে অন্য ওয়ার্ডে সরানো হয়। তার পরে হাসপাতালের অন্য নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন। জখম ওই নার্সের নাম টুম্পা মাহাতো। হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “চিকিৎসাধীন এক রোগী হঠাৎ কতর্ব্যরত নার্সকে ওয়ার্ডের ভিতরেই কামড় দেন। পুলিশ, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীরা ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ মেল সাজির্ক্যাল ওয়ার্ডে বিষ্টু হাঁসদার পাশের বেডের এক রোগীকে স্যালাইন লাগাতে গিয়েছিলেন টুম্পা দেবী। সেই সময় হঠাৎ বিষ্টু ওই নার্সের দুই পা জাপটে ধরে টানাটানি করতে থাকেন। পায়ে কামড়াতে থাকেন। টুম্পা দেবীর চিৎকার শুনে ছুটে যান অন্য নার্সরা। কেউ রোগীর হাত থেকে টুম্পাকে ছাড়াতে পারছিলেন না। কামড়ে নার্সের পায়ের মাংস তুলে নেন ওই রোগী। পুলিশ গিয়ে রক্তাক্ত নার্সকে রোগীর হাত থেকে উদ্ধার করে। টুম্পা দেবী বলেন, “এ ভাবে একজন রোগী আমার উপর হামলা করবে বুঝতে পারিনি। সহকর্মীরা ছুটে না এলে বড় ঘটনা ঘটতে পারত। রক্তাক্ত নার্সকে উদ্ধার করার পর তাঁকে জরুরি বিভাগে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। অন্যদিকে নার্সের উপর ওই হামলাকারী রোগীকে শান্ত করতে ছুটে আসেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। ঘুমের ইনজেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। চারদিন আগে পুরাতন মালদহের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বিষ্টু হাঁসদার বাঁ পা ভেঙে যায়। সদর হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞ সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, “সড়ক দুঘর্টনায় বিষ্টু হাঁসদার বাঁ পা কয়েক টুকরো হয়ে যায়। জ্ঞান ছিল না। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলে হাসপাতাল থেকে ওর বাড়িতে খবর দেওয়ার জন্য পুলিশকে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত কেউ ওঁকে দেখতে আসেননি।” মালদহ সদর হাসপাতালের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পার্থ দাসশগুপ্ত বলেন, “রোগীটি কী কারণে হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই রুগীর মস্তিষ্ক স্ক্যান করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|